প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে খুন, ধর্ষণ অন্যায়ের মত ঘটনা যে তৃণমূল সরকারের আমলে কোনোমতেই বন্ধ হবে না, তা বুঝতে পেরেছে বিরোধীরা। আরজিকরের ঘটনার পর যেভাবে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন হয়েছিল, তাতে অনেকেই ভেবেছিলেন যে, অন্তত সরকারি জায়গায় মহিলাদের হেনস্থা করার প্রবণতা কমবে। কিন্তু কিসের কি? সম্প্রতি আবার একেবারে পাঁশকুড়ায় সরকারি হাসপাতালে এক চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। তবে এই ঘটনার সামনে আসার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, আরজিকরের পর যে আন্দোলন গোটা রাজ্যজুড়ে নাগরিক সমাজ শুরু করেছিল, সেই আন্দোলনকে আবার দেখবে বাংলা? আবার কি সরকারকে চাপে ফেলে দেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হবে? আর এসবের মধ্যেই সেই প্রকট আন্দোলন না হলেও, ধীরে ধীরে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

ইতিমধ্যেই পাঁশকুড়ার সরকারি হাসপাতালের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, তার বিরুদ্ধে প্রত্যেকেই সরব হচ্ছেন। প্রত্যেকের মধ্যে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে যে, এই রাজ্যে কি মহিলাদের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকবে না? যেখানে সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই মহিলারা নিরাপদ নয়, সেখানে রাস্তাঘাটে তারা কি করে নিরাপত্তা নিয়ে পথ চলবেন? ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে বিরোধীরা দাবি করছে, প্রশাসনের অপদার্থতার জন্যই এই সমস্ত ঘটনা ঘটছে। আর তার মাঝেই আজ গোটা পাঁশকুড়া জুড়ে ১২ ঘন্টার বনধ ডেকেছে এসইউসিআই। যেখানে বিভিন্ন জায়গায় পিকেটিং করে এই বনধের সমর্থনে প্রতিবাদ কর্মসূচি করছেন তারা।

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে প্রতিনিয়ত মহিলারা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। শুধুমাত্র রাস্তাঘাটে নয়, একেবারে কর্মস্থলেও তাদেরকে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। আর এর জন্য প্রশাসনের অপদার্থতা সবথেকে বেশি দায়ী। তবে অনেকের মধ্যেই একটা প্রশ্ন দেখা দিতে শুরু করেছে যে, আরজিকরের পরে যে আন্দোলন তৈরি হয়েছিল রাজ্য জুড়ে, সেই আন্দোলন কি আবার ফিরে আসবে এই পাঁশকুড়ায় সরকারি হাসপাতালে নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে? কেননা বর্তমানে শুধু পাঁশকুড়াতেই এই সমস্ত প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে সেই কর্মসূচির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। তাই আগামী দিনের গোটা রাজ্যে পাঁশকুড়ার এই ঘটনার প্রতিবাদে নাগরিক সমাজ পথে নামে কিনা এবং তার ফলে কতটা চাপে পড়ে রাজ্য, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।