প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বিহারে এসআইআর হওয়ার পর থেকেই গোটা দেশে কবে থেকে এসআইআর হবে, প্রত্যেকটি রাজ্যে কবে থেকে তা চালু হবে, তা নিয়ে অনেকেই অপেক্ষায় রয়েছেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর চালু হবে কি হবে না, তা নিয়েও একটা সংশয় ছিল অনেকের মধ্যেই। তবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বৈঠকের পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, বাংলাতেও এসআইআর চালু হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। তবে এই দেশের বা রাজ্যের যে সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, তারা প্রথম দিন থেকেই এই এসআইআরের বিরোধিতা করছে। এমনকি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে অনেক  বিজেপি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের বলতে শোনা গিয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে। শুধু তাই নয়, এসআইআর নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরে আসছে বলেও খবর। তবে এবার সেই অপপ্রচার বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

গোটা দেশের মানুষ এসআইআরের পক্ষে সওয়াল করছেন। সকলেই তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন। শুধুমাত্র বিজেপি বিরোধীরা রাজনৈতিক দলের বেশ কিছু নেতা নেত্রীরা এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের গাত্রদাহ কোথায়, তারা কেন এই এসআইআরকে মেনে নিতে পারছেন না, তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন যে, রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারী থেকে শুরু করে অবৈধ বাংলাদেশিরা সেই বিরোধীদের আসল ভোটব্যাঙ্ক। তাই এসআইআর হলে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ যাবে। আর তার ফলে তাদের ভোটব্যাঙ্কে থাবা পড়বে জন্যেই তারা এত বিরোধিতা করছে। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা যেভাবে এসআইআর নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে প্রশ্ন তুলছেন, যেভাবে প্রতিনিয়ত নির্বাচন কমিশনকে পর্যন্ত আক্রমণ করতে তারা বাকি রাখছেন না, তাতে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কেন হবে না, এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছিল। অবশেষে এবার সেই ব্যাপারেই নজর দিলো নির্বাচন কমিশন।

কিন্তু কি পদক্ষেপ নিচ্ছে কমিশন? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, এসআইআর নিয়ে এবার থেকে ভুল তথ্য ছড়ালেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নজরদারিও রাখা হবে। যদি কেউ এসআইআর নিয়ে ভিত্তিহীন কোনো তথ্য ছড়ায় বা মিথ্যা প্রচার করে, তাহলে পাল্টা আসল তথ্য তুলে ধরবে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ এসআইআর নিয়ে যে মিথ্যা প্রচারের দিন শেষ হতে চলেছে, যতই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা এই এসআইআরের বিরোধিতা করতে গিয়ে নানা কথা বলুন না কেন, এবার আসল সত্যকে সামনে আনতে যে পাল্টা আসলে নামছে নির্বাচন কমিশন, তা বলাই যায়। তবে কমিশনের এই পদক্ষেপের কথা সামনে আসার পর এসআইআর নিয়ে যে সমস্ত মিথ্যা প্রচার এতদিন ধরে হয়েছিল, তা কতটা বন্ধ হয়, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা দেশবাসীর।