প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে একের পর এক দুর্নীতির ভয়ংকর তথ্য সামনে আসছে। রাজ্যের বহু নেতা, মন্ত্রী জেলের মধ্যে রয়েছেন। রাজ্যের আর এক মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। আগামীকাল তার জামিন মামলার শুনানি রয়েছে। ইতিমধ্যেই বীরভূমে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখান থেকেও আজ প্রচুর অর্থ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর আসছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার দুর্নীতি নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তখনই গোটা তৃণমূল দলকে এবং স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বোমা ফাটালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

এদিন চন্দ্রনাথ সিনহা সম্পর্কে যে সমস্ত তথ্য সামনে আসছে, তা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন করা হয়। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন যে, চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, তিনি প্রচুর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি ভুয়ো চাকরি পর্যন্ত দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর সেই বিষয়ই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এক সময় বন সহায়ক দপ্তরের যে দুর্নীতি সামনে এসেছিল, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তদন্তের কথা বললেও তা এখনও পর্যন্ত হয়নি বলে পাল্টা খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে প্রত্যেকটি দপ্তরেই দুর্নীতির গন্ধ রয়েছে।

এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “একা চন্দ্রনাথ সিনহা চাকরি দিয়েছেন, আর অন্য কেউ চাকরি দেয়নি, এটা কি কেউ বিশ্বাস করবে? তৃণমূল কংগ্রেস এমন কোনো দপ্তর দেখাতে পারবে, যেখানে তারা দুর্নীতির স্পর্শ রেখে যায়নি? মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন, বন সহায়ক পদের চাকরি নিয়ে যা হয়েছে, সেই ঘটনার তিনি তদন্ত করবেন। কোথায় তদন্ত? বছর তো পেরিয়ে গেল। চার বছরের বেশি সময় চলে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের শুধু বিবৃতি থাকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নিজের যে দপ্তর সিএমও, সেখানেও গ্রুপ ডির তালিকা নিয়ে ওই ধর্মতলায় মানুষ ধর্না দিয়েছে।”