প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি মহালয়ার আগেই পূজা উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। শুধু পূজা উদ্বোধন নয়, মহালয়ার আগের দিন কলকাতা শহরে বিভিন্ন ক্লাবের উদ্বোধন করতে গিয়ে বৃষ্টি পড়ার কারণে তিনি মাথায় একটি চাদর দিয়েছিলেন। তবে সেই চাদর তিনি যেভাবে পড়েছেন, তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই খোঁচা দিয়ে জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী হিজাব পড়ে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের ভোট নেওয়ার জন্যই তার এই ধরনের কার্যক্রম। যা হিন্দু শাস্ত্রের বিরোধী বলেই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। আর গতকাল মহালয়ার দিনে শুভেন্দু অধিকারীকে সেই প্রশ্ন করার পর তিনি আবারও আক্রমণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে।

মহালয়ার আগের দিন মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন নিয়ে এমনিতেই অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। একদিন দেরি করে মাতৃপক্ষ পড়ার পর কেন তিনি পুজো উদ্বোধন করতে পারছেন না, তা নিয়ে অনেকেই খোচা দিচ্ছেন‌। যদিও বা মুখ্যমন্ত্রী যুক্তি দিয়েছেন যে, তিনি মূর্তি উদ্বোধন করছেন না, তিনি মন্ডপ উদ্বোধন করছেন। তবে সেসবের মধ্যেও অতীন ঘোষের পুজোতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আবার দেখা গিয়েছে মাথায় চাদর জড়িয়ে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন যে, বৃষ্টি পড়ার কারণে তিনি মাথায় চাদর দিয়েছেন। তবে যেভাবে তিনি চাদর জড়িয়েছেন, তা নিয়েও আবার অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। আর গতকাল মহালয়ার দিনে বৃষ্টিই যদি পড়বে, তাহলে ছাতা নিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এক্ষেত্রে হিজাব পড়ার কি দরকার, তা নিয়েই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

গতকাল এই ব্যাপারে সাংবাদিকরা আবার শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন।‌ আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “পিতৃপক্ষে পূজো উদ্বোধন হয় না। উনি ভোটব্যাঙ্ককে রক্ষা করার জন্য ওইসব করেছেন এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দিচ্ছেন। মাথায় হিজাব পড়েছিলেন। বৃষ্টি পড়লে ছাতা দেওয়া যেত। তার জন্য হিজাব লাগত না।” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী এই বার্তার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করার চেষ্টা করছেন। আর সেই কারণেই তিনি পিতৃপক্ষে যেমন পূজা উদ্বোধন করেছেন, ঠিক তেমনই মাথায় হিজাব পড়েছেন বলেই খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।