প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখনই দেশে ভালো কিছু হয়, তখনই তার ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেন। আর সমস্ত ক্রেডিট নিতে গিয়ে অনেকের কাছেই হাসির পাত্র হয়ে ওঠেন তিনি। বর্তমানে তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা। কেননা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জিএসটি সাশ্রয়ের মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উৎসবের মরশুমের আগে আজ থেকেই লাগু হয়েছে নয়া জিএসটি। যেখানে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে লাভবান হবেন প্রচুর মধ্যবিত্ত মানুষ। অনেক জিনিসের দাম কমে যেতে চলেছে। আর সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী আবার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ উদ্বোধন করতে গিয়ে দাবি করার চেষ্টা করছেন যে, এতে রাজ্যেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবিকে রীতিমত কটাক্ষ করে হরিদাস পাল বলে আখ্যা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মত আজ থেকেই গোটা দেশে লাগু হয়েছে নয়া জিএসটির স্ল্যাপ। যার ফলে ওষুধ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যবীমা থেকে শুরু করে প্রচুর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমে যেতে চলেছে। যার ফলে লাভবান হবেন মধ্যবিত্তরা। সাধারণ মানুষরাও প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। উৎসবের আগে কেন্দ্রের এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে তাদের যে অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার কেন্দ্র এই ঘোষণা করার পরে নিজে ক্রেডিট নেওয়ার একটা মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন। বিভিন্ন পূজা মন্ডপে উদ্বোধন করতে গিয়ে বলার চেষ্টা করছেন যে, এই জিএসটি সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে তার সরকারেরও নাকি যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। আর সেই ব্যাপারে এবার পাল্টা মুখ খুলে মুখ্যমন্ত্রীকে রীতিমত চাপের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন নবদ্বীপে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সাংবাদিকরা মুখ্যমন্ত্রীর এই জিএসটি সাশ্রয় নিয়ে যে ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা, সেই বিষয় নিয়ে তাকে প্রশ্ন করেন। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “হরিদাস পাল। নরেন্দ্র মোদী করেছে, মোদীজি করেছে। গোটা দেশ তার কাছে কৃতজ্ঞ। দুর্গাপুজো এবং নবরাত্রিতে তিনি ভারতবাসীকে উপহার দিয়েছেন।” অর্থাৎ জিএসটি সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যে কোনো ভূমিকা নেই, তিনি যতই ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করুন, এক্ষেত্রে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে গোটা দেশবাসীকে উপকৃত করেছেন, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।