প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কলকাতায় জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে. গোটা ঘটনায় বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার ঘাড়ে মুখ্যমন্ত্রী দায় চাপালেও, রাজ্য প্রশাসন এবং কলকাতা পৌরসভা দায় এড়াতে পারে না বলে পাল্টা দাবি করেছে বিরোধীরা। সমস্ত দায় এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার অপদার্থ প্রশাসনের বলেই সোচ্চার হচ্ছেন বিজেপি নেতারা। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আজ যারা বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘটনার পাল্টা বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গতকালই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, যারা বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি টাকা করে দিতে হবে। তবে আজ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে এই ক্ষতিপূরণের যে কোনো অর্থ হয় না, তা পাল্টা মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি নিজে আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারকে দেবেন বলে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন মুর্শিদাবাদে বেশ কিছু পুজোর শুভ সূচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কলকাতায় যারা মারা গিয়েছেন, তাদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, তা নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কলকাতা কর্পোরেশন এবং পুলিশের জন্য এরা মারা গেল। আইএমডি আগেই জানিয়েছিল। এই মুখ্যমন্ত্রীর দু’লক্ষ টাকা নিতে না বলব। আমি আড়াই লক্ষ টাকা করে দেব।” অর্থাৎ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে যে ঘটনা কলকাতায় ঘটেছে, যেভাবে পুজোর আগে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একের পর এক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাতে এই সামান্য ক্ষতিপূরণ যে মোটেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শোভনীয় নয়, তা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই মুখ্যমন্ত্রী দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে মুখ রক্ষা করার চেষ্টা করলেও, তিনি নিজে যারা বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মারা গিয়েছেন, তাদের আড়াই লক্ষ টাকা করে দেবেন বলে পাল্টা ঘোষণা করে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে রীতিমত চাপের মুখে ফেলে দিলেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।