প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
প্রায় নয় বছর পর রাজ্যে অবশেষে হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। প্রথমে নবম দশম এবং তারপর একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সেই পরীক্ষায় ২০১৬ সালের প্যানেল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হওয়ার পর যারা যোগ্য, তারাও বসেছেন। আবার নতুন পরীক্ষার্থীরাও বসেছেন। তবে যারা চাকরিহারা যোগ্য, তাদের ১০ নম্বর করে বাড়তি দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে এসএসসি। স্বাভাবিকভাবেই যারা নতুন পরীক্ষার্থী, তাদের মধ্যে একটা সংশয় তৈরি হয়েছে যে, তাদের পরীক্ষা দিয়ে তাহলে কি লাভ? যেখানে শূন্যপদ বেশি নেই, সেখানে তারা কি আদৌ সুযোগ পাবেন? তাই এবার চাকরিহারা শিক্ষকদের বাড়তি ১০ নম্বর দেওয়ার বিরোধিতা করে পথে নামলেন এসএসসির নতুন চাকরিপ্রার্থীরা।

ইতিমধ্যেই এসএসসির এই পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে অনেকের মধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে। অনেক যোগ্য প্রার্থীরাও প্রশ্ন তুলছেন যে, তারা যদি চাকরি হারিয়ে ফেলেন, তাহলে তাদের ভবিষ্যতের গ্যারান্টি কি সরকার নেবে? তবে যারা নতুন পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদের মধ্যেও একটা অশনি সংকেত তৈরি হয়েছে। কেননা চাকরিহারা শিক্ষকদের বাড়তি ১০ নম্বর করে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে তারা যদি বাড়তি ১০ নম্বর পেয়ে যান, তাহলে নতুন পরীক্ষার্থীরা কতটা সুযোগ পাবেন, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। তাই এবার চাকরিহারাদের যেভাবে ১০ নম্বর বাড়তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার বিরোধিতা করে করুণাময়ীতে বিক্ষোভে নামলেন এসএসসির ২০২৫ সালের নতুন চাকরিপ্রার্থীরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুজোর মুখেও আন্দোলন কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না। শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে এমনিতেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে যে, আদৌ এবার পরীক্ষার স্বচ্ছতা থাকবে কিনা! আর তার মধ্যেই চাকরি হারাদের বাড়তি ১০ নম্বর দেওয়ার বিরোধিতা করে এবার নতুন চাকরিপ্রার্থীরা যেভাবে আন্দোলনে নামলেন, তাতে পুজোর আগে রীতিমত চাপ বাড়ছে এসএসসি থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।