প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় যখনই রাজ্যে কোনো ঘটনা ঘটবে, তখনই অন্য কারও ঘাড়ে খুব সহজে দায় চাপিয়ে দেবেন। এমনকি নিজে বোঝানোর চেষ্টা করবেন যে, তেমন বড় মাপের কিছু হয়নি, যা হয়েছে, খুব ছোট ঘটনা। এই করে করে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে রাজ্যকে সর্বনাশের মুখে ফেলে দিয়েছেন রাজ্যের বর্তমান প্রশাসনিক প্রধান। বন্যা থেকে শুরু করে বিপর্যয়, আইন শৃঙ্খলার অবনতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তেমনটাই দাবি করে বিরোধীরা। আর উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর যেভাবে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের ওপর হামলা হয়েছে, যেভাবে তারা রক্তাক্ত হয়েছেন, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটি যুক্তি দিলেও, গুরুতর কিছু হয়নি বলে জানালেও, তার সেই বক্তব্যকে রীতিমত ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপাল। তিনি পাল্টা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়িয়ে বড় মন্তব্য করে বসলেন।

এদিন উত্তরবঙ্গের যে ভয়াবহ বিপর্যয় এবং সেখানে ত্রাণ দিতে গিয়ে যেভাবে বিজেপির একজন সাংসদ রক্তাক্ত হয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। বিভিন্ন মহলে কৌতুহল তৈরি হয়, তাহলে বিরোধীরা যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করছে, সেই মতই কি রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান? কি আলোচনা দুজনের মধ্যে হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে সেই সাক্ষাতের পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে গোটা বিষয়টিকে গুরুতর নয় বলে মন্তব্য করেছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর সেই যুক্তিকে রীতিমত খন্ডন করে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি পাল্টা জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী গুরুতর কিছু ঘটেনি বলে জানালেও যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যেখানে তিনি বলেন, “গ্রাউন্ড জিরোর পরিস্থিতি আমি জানি। সব রিপোর্ট পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গুরুতর কিছু ঘটেনি। আমি জানি, গুরুতর ঘটনা ঘটেছে। আমি নিজে এলাকায় গিয়ে কথা বলি মানুষের সঙ্গে। তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করি। বাংলায় যা ঘটছে, তা হওয়া উচিত নয়। না বলার সময় এসেছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ করার সময় এসেছে।”