প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যে তৃণমূলের কিছুই নেই, তা সকলেই জানে। ত্রিপুরায় তারা নাকি ক্ষমতা দখল করবে! এরকম অনেক আশা তৃণমূল নেতৃত্ব রেখেছিল। কিন্তু শেষ ভোটে সেখানে নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই তাদেরকে সেখানে যদি কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে, তাহলে তারা নিজেরাই মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। সম্প্রতি খবর পাওয়া যায় যে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে নাকি ভাঙচুর করা হয়েছে। আর তাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ থেকে কয়েকজন নেতা নেত্রী ত্রিপুরায় গিয়ে হম্বিতম্বি করার চেষ্টা করছেন। দেখানোর চেষ্টা করছেন, বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, তাদেরকে দেখে বিজেপি নাকি ভয় পাচ্ছে। কিন্তু যে তৃণমূলের কোনো কিছুই নেই ত্রিপুরায়, সেখানে তাদেরকে দেখে বিজেপি কেন ভয় পাবে? তাই যদি ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের মতো কোনো ঘটনা ঘটে থাকে এবং কেউ যদি সেই কাজ করে, তাহলে তারা যে কাজটা ঠিক করেননি, উল্টে এই কাজ করে যে তৃণমূলকেই বাড়তি মাইলেজ পাইয়ে দেওয়া হলো, তা সকলেই বুঝতে পারছেন। আর আজ সেই কথাই উল্লেখ করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতৃত্ব সরব হচ্ছে। তাদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পশ্চিমবঙ্গ থেকে ত্রিপুরায় গিয়ে এমন একটা ভাব দেখানোর চেষ্টা করছেন যে, তারা ত্রিপুরায় কত বড় ফ্যাক্টর! কিন্তু ত্রিপুরায় তৃণমূলের যে কোনো ভোট নেই, তা বিগত দিনের নির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তাই ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিস যদি কেউ ভেঙে থাকে, তাহলে তা করে যে নিজেদেরকেই ছোট করা হলো, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন যে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের কিছু নেই। তাই যদি এমন কোনো ঘটনা থেকে ঘটে থাকে এবং তাদের পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে নিজেদের হাতটাই দুর্গন্ধ হলো।
এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে বিপ্লব দেবের কথা হয়েছিল, সুশান্ত চৌধুরীরও কথা হয়েছিল। তারা বলেছে, তাদেরও এটা নোটিশে নেই। আমিও মনে করি, করার কোনো দরকার নেই। হাতটা দুর্গন্ধ হলো। পার্টিটা নেই ওখানে। নোটার নিচে ভোট পায়।” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীও বুঝিয়ে দিলেন যে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের কিছুই নেই। তাই সেখানে তাদের পার্টি অফিসে এইরকম ঘটনা ঘটিয়ে তৃণমূলকে বৃথা রাজনৈতিকভাবে হিরো বানানোর কোনো দরকার অন্তত বিজেপির মত সর্বভারতীয় দলের নেই। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।