প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় ত্রাণ দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। গোটা ঘটনায় যারা হামলা করেছে, তারা প্রত্যেকেই তৃণমূল আশ্রিত একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। আর এই গোটা ঘটনার পেছনে তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলার চক্রান্ত রয়েছে বলেও দাবি উঠছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। যদিও বা রাজ্যের শাসক দল এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো যোগ নেই বলে প্রথম থেকেই জানিয়ে দিয়েছে। তবে এসবের মাঝেই এবার সেই নাগরাকাটার ঘটনায় বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ককে আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে দায়ের হতে চলেছে জনস্বার্থ মামলা।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই নাগরাকাটায় যে ঘটনা ঘটেছে যেভাবে বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ক আক্রান্ত হয়েছেন, তা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এমনকি জাতীয় রাজনীতিতেও তার প্রভাব পড়েছে। রাজ্যে যে আইনশৃঙ্খলা নেই, সেই ব্যাপারে সোচ্চার হচ্ছেন অনেকেই। ক্রমাগত অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্য প্রশাসনের। তৃণমূল গোটা বিষয়টি থেকে দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেও, যেভাবে বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাতে যারা এই হামলা চালিয়েছে, তারা সকলেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে ক্রমাগত দাবি উঠছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। আর যদি বিরোধীদের এই বক্তব্য সত্যি হয়, তাহলে এবার যে পদক্ষেপ হতে চলেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু যথেষ্ট চাপে পড়ে যাবে রাজ্যের শাসক দল।

ইতিমধ্যেই নাগরাকাটায় খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে। মূলত, এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েই এই জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। স্বাভাবিকভাবেই যারা মামলা দায়ের করেছেন, তারা এখন কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। কেননা যেহেতু বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই হামলার পেছনে তৃণমূলের যোগ রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টে অবশেষে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি পেতেই অনেকেই আশাবাদী যে, এবার আদালত বড় কোনো নির্দেশ দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে যদি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ আসে, তাহলে যারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত, তাদের ঘুম উড়তে শুরু করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।