প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যে মহিলাদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, তা আরজিকরের ঘটনার পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অনেকেই ভেবেছিলেন যে, সমবেত প্রতিবাদ যখন তৈরি হয়েছে, তখন আর সেরকম কিছু হবে না। প্রশাসন এরকম আর ঘটনা ঘটতে দেবে না। কিন্তু এই রাজ্যে যে প্রশাসন বলে কিছু নেই, এখানে যে মহিলাদের নিরাপত্তা একেবারে তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। যেখানে আরজিকরের ছায়া দেখা গেল দুর্গাপুরে। যেখানে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠলো। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের রাজ্য প্রশাসন থেকে শুরু করে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

কি ঘটনা ঘটেছে? ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যবাসী জেনে গিয়েছেন যে, দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে চরম অসভ্যতা করেছেন কিছু মানুষ। গতকাল সন্ধ্যায় সেই তরুণী চিকিৎসক খাবার নিতে বাইরে যান। আর সেই সময় তার পথ আটকায় ২-৩ জন ব্যক্তি। পরবর্তীতে তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তার সঙ্গে অসভ্যতা করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সেই তরুণী চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিবাদ। আসানসোলে রীতিমত পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।

এদিন দুর্গাপুরে এই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের গণধর্ষণের খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে গোটা রাজ্যে আলোড়ন পড়ে যায়। মেডিকেল কলেজের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ শুরু করে দেয় সিপিএম। পাশাপাশি খবর পাওয়ার সাথে সাথেই বিন্দুমাত্র দেরি না করে প্রতিবাদের সুর চওড়া করে পথে নেমে পড়ে বিজেপিও। ইতিমধ্যেই আসানসোলে বিজেপির পক্ষ থেকে মহিলা মোর্চার নেত্রীরা পথে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। তাদের একটাই বক্তব্য, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে মহিলাদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। এই রাজ্যে প্রতিনিয়ত মা-বোনেদের সম্ভ্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। তাই আরজিকরের পর যেভাবে আবার এক তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটলো, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং এর জন্য প্রশাসন এবং মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর গাফিলতি দায়ী বলেই দাবি করছেন তারা। তবে আরজিকরের কায়দাতেই যেভাবে এই ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে এবং যেভাবে বিরোধীরা পথে নেমেছে, তাতে রীতিমত চাপ বাড়ছে প্রশাসনের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।