প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাজ্যে ফের ঘটে গিয়েছে আরও এক লজ্জাজনক ঘটনা। আরজিকরের ঘটনার পর সকলেই মনে করেছিলেন, আর সেইভাবে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু তারপর বহু ঘটনা ঘটেছে। আর আজ যে খবর সামনে এলো, তাতে লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে বাঙালির। প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা থেকে শুরু করে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। যেখানে দুর্গাপুরে এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাইরে খাবার নিতে যাওয়ার সময় দুই তিন জন যুবক তার পথ আটকায়। আর তারপরেই তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যজুড়ে তৈরি হয়েছে প্রতিবাদ। তবে গোটা ঘটনায় এবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়ার পাশাপাশি যারা এই সমস্ত ঘটনা ঘটায় তাদের আশ্রয়দাতা এই রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের নেতারা বলেই দাবি করলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।

ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্যে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। পথে প্রতিবাদে নেমেছে বিরোধীরা। বিজেপির পক্ষ থেকে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। সকলের একটাই বক্তব্য যে, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে কেন বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে? বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বাইরে খাবার আনতে গিয়ে কেন একজন তরুণী চিকিৎসকে এইভাবে নির্যাতন হতে হবে? তাহলে প্রশাসনের সক্রিয়তা কোথায়? আরজিকরের পরে তো রাজ্যে আরও এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেল! ফলে মা-বোনেদের নিরাপত্তা যে রাজ্যে নেই, তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। আর তার মাঝেই গোটা ঘটনায় এই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলকে রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।

এদিন এই ব্যাপারে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আজকে ডাক্তারকে গণধর্ষণ করা হচ্ছে। সেটা আরজিকরের অভয়া হোক কিংবা দুর্গাপুরের ঘটনা। আসলে এটা পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা এবং মানসিকতার সমস্যা। এখানে যারা ধর্ষণ করে, যারা নির্যাতন করে, যারা খুন করে, তারা জানে, আমাদের মাথার ওপর তৃণমূল আছে, আমাদের মাথার উপর মুখ্যমন্ত্রী আছে। আমাকে শুধু লোকাল তৃণমূল নেতার পায়ে পড়ে যেতে হবে। তাহলে আমি খুন করি, ধর্ষণ করি, সব ক্ষমা হয়ে যাবে। এই রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা নেই। মহিলাদের কোনো সম্মান নেই।”