প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল কংগ্রেসে একজনই নেত্রী। তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা সকলেই জানেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পয়েন্ট বাড়াতে হলে তো তাকে বিভিন্ন মনিষীর সঙ্গে তুলনা করতে হবে! এমনকি দেব দেবীদের সঙ্গেও তুলনা করতে হবে! আর সেটাই এখন করতে শুরু করেছেন তৃণমূলের একের পর এক নেতা নেত্রীরা। এর আগে নির্মল মাঝি থেকে শুরু করে ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য আমরা শুনেছি। তারা কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনীষীর সঙ্গে তুলনা করেছেন, কেউ আবার রামকৃষ্ণের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর এবার বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চে পূর্ব বর্ধমানে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র বলে পরিচিত কুনাল ঘোষ যে কথা বললেন, তারপর না হেসে পারছেন না রাজ্যের আমজনতা। সকলে একটাই কথা বলছেন যে, আর কত পদলেহন করবেন তৃণমূলের এই সমস্ত নেতারা? আর কত তারা মানুষের কাছে হাসির পাত্র হয়ে উঠবেন?

আপনারা সকলেই জানেন যে, গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের এখন বিজয়া সম্মেলনী চলছে। আর এই সম্মেলনীকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল জনসংযোগের এক নয়া পন্থা বেছে নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নেতাদের পাঠানো হচ্ছে। সেইমত পূর্ব বর্ধমান জেলায় যে বিজয়া সম্মিলনী হচ্ছে, সেখানে পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষকে। আর তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুটো গানের লাইন উল্লেখ করেন। যেখানে তিনি বুঝিয়ে দেন যে, সবুজ ধান উপচে পড়ছে, এত উন্নয়ন হচ্ছে, তার কারণ লক্ষ্মী হিসেবে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে গানের আরও দুটো লাইন যুক্ত করে ডাকিনী, যোগিনী, পিশাচ হিসেবে বাম, বিজেপি এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন এই তৃণমূল নেতা।

আর কুনাল ঘোষের এই মন্তব্যের পরেই কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, লক্ষী না অলক্ষী, তা তো রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। যে লক্ষীর আমলে বেকাররা কাঁদছে, যে লক্ষীর আমলে দুর্নীতির কারণে যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি চলে যায়, যেখানে প্রতিনিয়ত মা-বোনেদের নির্যাতিত হতে হয়, সেখানে কুনাল ঘোষ এই ধরনের কথা বলেন কি করে? আসলে তাকে তার দলের কাছে পয়েন্ট বাড়াতে হবে। সেই কারণে নির্লজ্জতা ভুলে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্মীর সঙ্গে তুলনা করে সনাতনী ধর্মকেও অপমান করেছেন এই তৃণমূল নেতা। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছেন বিরোধীরা।