প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকালই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি সেই ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে যাওয়ার আগে সেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানানোর জন্য পতাকা লাগানো হয়েছে। আর সেই পতাকা যাতে ঠিকমত থাকে, তার তদারকিতে ব্যস্ত রয়েছে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের বিপদে না থেকে পুলিশ প্রশাসন যেভাবে তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে, তা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর এই ভিডিও সামনে আসার পরেই সোচ্চার হয়েছিল বিরোধীরা। আর আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরও একটি ভিডিও পোস্ট করলেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, একটি জায়গায় লাগানো দেশের জাতীয় পতাকা আবার খুলে ফেলা হচ্ছে। আর দেশমাতৃকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যে জাতীয় পতাকা লাগানো হয়েছিল, তা কেনই বা খুলে ফেলা হলো, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে নিজের পোস্ট করা ভিডিওতে এই ব্যাপারে ভয়ঙ্কর দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, কিছুক্ষণ আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়া একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, ভারতের গৌরবান্বিত জাতীয় পতাকা খুলে ফেলা হচ্ছে। আর সেই ঘটনারই বিরোধিতা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের পোস্ট করা ভিডিওতে দাবি করেছেন যে, বাঁকুড়ায় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কর্মীরা গত ১৫ আগস্ট একটি বড় জাতীয় পতাকা লাগিয়েছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই শাসক দলের নির্দেশে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাক্তন সেনার কর্মীদের সেই পতাকা যাতে খুলে ফেলা হয় তার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণেই তারা সেই জাতীয় পতাকা খুলে ফেলতে বাধ্য হলেন।

নিজের পোস্ট করা ভিডিওতে শুভেন্দু অধিকারী আরও দাবি করেছেন, “মমতা পুলিশ নিজেকে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগায়। আর বাঁকুড়ায় জাতীয় পতাকা নামায়!! উৎকণ্ঠার বিষয় হলো, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দেশদ্রোহীতা বর্তমানে তৃণমূলের প্রশাসনের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছে। তৃণমূলের থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজ্য প্রশাসন এখন সরাসরি দেশদ্রোহী কার্যকলাপ করছে যা ভারতবাসী হিসেবে আমাদের কাছে লজ্জার। রাজ্যের জনসাধারণের মধ্যে দেশাত্মবোধের চেতনা জাগ্রত হচ্ছে, তাই কি তৃণমূল ভীত সন্ত্রস্ত? আসলে তৃণমূল চায় না রাজ্যের নাগরিকদের চেতনায় দেশাত্মবোধের জাগরণ ঘটুক। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার প্রশাসনকে বলতে চাই, পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু ভারতেরই অঙ্গরাজ্য। তাই দেশের জাতীয় পতাকাকে সসম্মানে উত্তোলন করা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকারের মধ্যেই পড়ে। এইভাবে জাতীয় পতাকা নামিয়ে মমতা প্রশাসন দেশের নাগরিকদের চেতনায় জাতীয়তাবাদের স্ফুলিঙ্গের সঞ্চারকে প্রতিহত করতে পারবেন না।”