প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যে মহিলাদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, তা আবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে অন্তত দুর্গাপুরে ওড়িশার বাসিন্দা তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে তার সঙ্গে হাসপাতালে অন্তত দেখা করতে যাবেন। এটা সবাই আশা করেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর যে সেই মানবিক রূপটুকুও দেখা গেল না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সকলে। তবে মুখ্যমন্ত্রী তার দায়িত্ব পালন না করলেও, আজ দুর্গাপুরে গিয়ে সেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি।
গতকাল এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে রওনা হওয়ার আগে দুর্গাপুরের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রতিক্রিয়া দেন। তবে তার মন্তব্য নিয়েও ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে এই সমস্ত কথা বলতে পারেন? তিনি তো এর বদলে দুর্গাপুরে গিয়ে সেই নির্যাতিতার সঙ্গে একটু সামান্য দেখাটুকু করে আসতে পারতেন! তাহলে তো তার মানবিক রূপ সামনে আসতো! তার রাজ্যের বুকে ওড়িশা থেকে আসা একজন পড়ুয়ার সঙ্গে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, আর তিনি মহিলাদের রাত্রিবেলা বাইরে বেরোনো নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন কি করে? বিরোধীদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এই সমস্ত কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করা হচ্ছে। আর তার মধ্যেই আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছে গিয়েছিলেন দুর্গাপুরে সেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে। আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবাকে পাশে বসিয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন দুর্গাপুরে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে অনেক পরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। উনি তো দার্জিলিঙে যাচ্ছেন ছুটি কাটাতে। উনি বলছেন, মেয়েদের নিরাপত্তা মেয়েদের বুঝে নিতে হবে। এটা কোন জঙ্গলের রাজত্বে আমরা বসবাস করছি? আমরা আশা করেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী গতকাল তার চার্টার্ড ফ্লাইট নিয়ে অন্ডালে নেমে ওই কন্যাটিকে দেখতে যাবেন। অন্তত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে তারপরে তিনি তার ভ্রমনে বা প্রমোদে যাবেন। কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব পালন করেননি। বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি প্রথমেই আজকে এসে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। ওনার পিতৃদেব কান্নায় ভেঙে পড়েছে আমাদেরও কান্না আসছে। আমরা ওড়িশার মেয়েকে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না। এটা বাঙালি হিসেবে আমিও লজ্জিত। আমরা তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।”