প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২৬ এর নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই কি তৃণমূল নেতাদের কনফিডেন্টের অভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে? এমনকি কর্মীরাও যে দলের সঙ্গে সেভাবে সম্পৃক্ত নেই, সেটা কি ফুটে উঠছে নেতাদের কাছে? জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী। আর এই বিজয়া সম্মিলনীকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের শাসক দল জনসংযোগের একটা চেষ্টা চালাচ্ছে। আর সেই বিজয়া সম্মেলনতেই কোথাও দলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে বার্তা, আবার কোথাও বা খেলা মেলার বিরুদ্ধে মতামত দিতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। আর এবার বিজয় সম্মেলনীর মঞ্চে যখন বক্তব্য চলছে, তখন সামনের চেয়ার ফাঁকা হয়ে যেতে দেখেই রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়লেন খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

বিরোধীদের বক্তব্য, রাজ্যের শাসক দলের অস্তিত্ব বলে আর কিছু নেই। নেতারাও বুঝতে পারছেন যে, কর্মীরা তাদের থেকে সরে যাচ্ছে। তাদের বক্তব্য শোনার মত ধৈর্য বা ইচ্ছা কোনোটাই রাজনৈতিক কর্মীদের নেই। আর সেই কারণেই বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চে মন্ত্রী যখন বক্তব্য রাখছেন, তখন সামনে চেয়ার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কি ঘটনা ঘটেছে?

এদিন খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় লক্ষ্য করেন যে, সামনে যে চেয়ার রয়েছে, সেখানে অনেক চেয়ার ফাঁকা রয়েছে। এমনকি অনেকেই বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আর তখনই ঘর বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। যদিও বা তার এই নির্দেশের পরে কর্মীরা সকলেই এসে আবার নিজের চেয়ারে বসেছেন বলে দাবি করেছেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন যে, এই বয়সেও যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন, তাহলে তিনি সেই নির্দেশ পালন করবেন। তাই কর্মীরা যেভাবে আসন ছাড়ছেন, তা দেখে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, তৃণমূলের পাল্লা ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। কর্মীরাও দলের নেতাদের ওপর সন্তুষ্ট নয়। যার কারণে নেতা-মন্ত্রীরা বক্তব্য রাখার সময় কর্মীরা চেয়ার ছাড়তে শুরু করেছে। আর এটাই ইঙ্গিত করে যে, ২৬ এর নির্বাচনে তৃণমূলের বিসর্জন অবশ্যম্ভাবী বলেই দাবি বিরোধীদের।