প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে কি লড়াই করবে? তারা আগে নিজেদের দলের সঙ্গে লড়াই করে পেরে উঠুক। তারপরে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি হিসেবে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করবে। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলে বিরোধিতা। আর এবার জেলায় জেলায় তৃণমূলের যে বিজয়া সম্মেলনী হচ্ছে, যেখানে ২৬ এর নির্বাচনের বার্তা দিচ্ছেন নেতারা, সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিভিন্ন নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের গলায় উঠে আসছে গোষ্ঠী কোন্দলের কথা। নেতা থেকে মন্ত্রী প্রত্যেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, ২৬ এর নির্বাচনে একত্রিত হয়ে লড়াই করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী যাকেই করা হবে, তাকেই জেতানোর জন্য কোনো রকম দ্বন্দ্ব না রেখে লড়তে হবে সকলকে।
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একের পর এক বিজয়া সম্মেলনীতে বিভিন্ন নেতাদের গলায় গোষ্ঠী কোন্দল যে দলের প্রধান কাঁটা হয়ে গিয়েছে, তা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে। তাপস চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সৌগত রায়, গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে তারা সকলেই সতর্ক করেছেন কর্মীদের। আর এবার বারাসাত শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই গোষ্ঠী কোন্দল নিয়েই সকলকে সাবধান বাণী দিলেন মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ। আর হেভিওয়েট মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই একাংশ মনে করছেন যে, গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে গোটা তৃণমূল পরিবার অত্যন্ত চিন্তিত। তাই বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকে সকল হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরাই সেই গোষ্ঠী কোন্দল যাতে বন্ধ করা যায়, তার পক্ষেই নিজেদের বার্তা দিচ্ছেন।
এদিন বারাসাত শহর তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে ২৬ এর নির্বাচন নিয়ে সকলকে এক হয়ে কাজ করার বার্তা দেন মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি বলেন, “আমি মন্ত্রী হয়েছি বলে আমার চারটে পা গজিয়ে যায়নি। দলের তরফ থেকে কলাগাছ দাঁড় করালেও তাকে জেতাতে হবে। নিজেদের মধ্যে লড়াই থাকতে পারে, কিন্তু দলে তার প্রভাব থাকলে চলবে না। মমতা ব্যানার্জি এত পরিশ্রম করছেন, আমাদেরকেও তার প্রার্থীদের জেতাতে হবে।” আর এখানেই বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন, মন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, ২৬ এর নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। তাই এখন থেকেই দলীয় নেতা কর্মীদের এক হয়ে থাকার বার্তা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই মন্ত্রী। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছু হবে না। ২৬ এর নির্বাচন তৃণমূলের বিসর্জন বলেই দাবি বিরোধীদের।