প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে প্রায় এক বছরের কিছু সময় আগে ঘটে যাওয়া আরজিকরের ঘটনার পর ভয়ংকর প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছিল রাত দখলের মত কর্মসূচি। পথে নেমেছিল নাগরিক সমাজ। আর লাগাতার সেই আন্দোলনে রীতিমত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। হাতে আর কয়েক মাস বাকি রয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক দল যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই রাজ্যের বুকে ঘটে গিয়েছে আরও এক ভয়ঙ্কর মর্মান্তিক ঘটনা। যেখানে দুর্গাপুরে এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তরুণী চিকিৎসক গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন‌। আর সেই ঘটনার পরেই যখন বিরোধীরা প্রতিবাদ করছে, তখন ফের রাজ্য শুরু হয়ে গেল রাত দখল কর্মসূচি। আরজিকর কাণ্ডের পরবর্তীতে যেভাবে রাত দখল হয়েছিল, ঠিক একই ভাবে শহর কলকাতায় এই দুর্গাপুর কাণ্ডের পরেও তেমনই প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত হতে দেখা গেল।

ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় আসতে শুরু করেছে। প্রত্যেকেই গোটা ঘটনার নিন্দা করছেন। প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। আর তার মধ্যেই ফের শুরু হয়ে গেল রাত দখল কর্মসূচি। যেখানে গতকাল নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দুর্গাপুরে এই গণধর্ষণে প্রতিবাদে যাদবপুরের এইট বি বাসস্ট্যান্ডে রাত দখল কর্মসূচি পালন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার সহ অন্যান্যরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্গাপুর কান্ডের পর যত সময় যাচ্ছে, ততই প্রতিবাদের আগুন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই প্রতিবাদ যদি আরজিকর কাণ্ডের মতই ভয়ঙ্কর রূপ নেয়, তাহলে সামনে যখন বিধানসভা নির্বাচন, তখন শাসকের কাল ঘাম ছুটতে পারে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে নারী নিরাপত্তা নিয়েই সব থেকে বড় প্রশ্ন উঠবে সেই সমস্ত প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে। যেমনটা আরজিকরের সময় উঠেছিল। স্বাভাবিকভাবেই যাদবপুরে যে রাত দখল কর্মসূচি হলো, তা আগামী দিনে রাজ্যের প্রত্যেকটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে কিনা আর যদিও বা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি বাড়তে শুরু করে, তাহলে কতটা চাপে পড়ে শাসক, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।