প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলতে যে কিছু নেই, তা ইতিমধ্যেই সকলের কাছেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বুকে ঘটে যাচ্ছে একের পর এক নারী নির্যাতনের মত ঘটনা। শুধু তাই নয়, সমাজের কোনো অংশের মানুষই যে তৃণমূল সরকারের আমলে নিরাপদ নয়, তা কিছুদিন আগেই নাগরাকাটায় যেভাবে বিজেপির একজন সাংসদ এবং একজন বিধায়ক আক্রান্ত হয়েছেন, সেই ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির কাছে এত ইস্যু থাকা সত্ত্বেও তারা কেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমবেতভাবে লড়াইয়ে নামতে পারছে না! কেন তৃণমূলকে সঠিকভাবে তারা যোগ্য জবাব দিতে পারছে না, এই প্রশ্ন কর্মীদের মধ্যে উঠতে শুরু করেছিল। তবে অবশেষে আজ একেবারে টিম করে তৃণমূল সরকারের এই অরাজকতার বিরুদ্ধে শহর কলকাতায় ধামাকা কর্মসূচি করতে চলেছে বিজেপি।

জানা গিয়েছে, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শহর কলকাতায় বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বড় পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। সাম্প্রতিককালে বিজেপি এত বড় কর্মসূচি কলকাতার বুকে করেনি। যেখানে আদিবাসী সাংসদের ওপর হামলা থেকে শুরু করে মহিলা নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিজেপির সমস্ত রাজ্যস্তরের নেতৃত্বদের উপস্থিতিতেই হবে এই কর্মসূচি। অসুস্থ থাকার জন্য হয়ত রাজ্য সভাপতি নিজে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদারের মত প্রথম সারির নেতারা সকলেই এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন বলেই খবর। যেখানে কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হবে মিছিল। আর তা শেষ হবে ডোরিনা ক্রসিংয়ে।‌

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির সমস্ত নেতারা যদি এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে এই কর্মসূচিকে সাফল্যময় করে তুলতে পারেন, তাহলে তা কর্মীদের কাছেও যথেষ্ট উজ্জীবিত হওয়ার মত বিষয় হবে। কেননা শহর কলকাতায় বিজেপির যে কর্মসূচি করার পরিকল্পনা আজ নিয়েছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এক্ষেত্রে যদি প্রশাসনকে দিয়ে তৃণমূল বিজেপির এই কর্মসূচিতে বাধাদান করার চেষ্টা করে এবং পাল্টা বিজেপিও ময়দান না ছাড়ে, তাহলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে একেবারে শহর কলকাতায় যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, বিজেপির অস্তিত্ব বলে কিছু নেই, সেখানে পুরো বিজেপি পরিবার যে সমস্ত ইস্যু নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ময়দানে নামতে চলেছে, তাতে জেরবার হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপি যে কর্মসূচি আজ নিয়েছে, তা কতটা শাসককে চাপে ফেলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।