প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বিভিন্ন জায়গায় সভা সমিতিতে একের পরে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়েই চলেছেন। এসআইআরের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিজেপি নেতাদের বেঁধে রাখার কথা বলছেন। কিন্তু তারপরেও এবার পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূলের একটি সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গণতন্ত্রের পূজারী বলে আখ্যা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। কিন্তু এত পর্যন্ত তিনি বললে ঠিক ছিল। কিন্তু তারপর এই তৃণমূল বিধায়ক যে কথা বললেন, তাকে হুমকি, হুঁশিয়ারি ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছেন না বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীকে গণতন্ত্রের পূজারী বলে তারপর সেই মুখ্যমন্ত্রীর দলেরই একজন বিধায়ক গণতন্ত্রের চিন্তা থাকলে বিরোধীদের একটা পতাকাও থাকবে না বলে যে মন্তব্য করলেন, সেটা কি গণতান্ত্রিক পরম্পরার পরিচয়?
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতাদের মুখ থেকে একের পর এক হুমকি হুশিয়ারি মূলক বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও এই রাজ্যের শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরা বড় বড় গলায় দাবি করছেন যে, তারা নাকি সব থেকে বড় গণতান্ত্রিক দল। কিন্তু তাদের আমলে এই রাজ্যের বুকে বিরোধীদের ওপর কি নির্যাতন চলছে, তা তো সাধারণ মানুষ খুব ভালো মতই দেখতে পাচ্ছে। আর এসবের মধ্যেই প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীকে গণতন্ত্রের পূজারী বলার পর নিজেই বিতর্কের মুখে পড়ে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী।
এদিন পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “বাংলার সব থেকে বড় গণতন্ত্রের পূজারীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনারা যে বাংলায় এসে এত বড় বড় কথা বলেন, আমাদের দলকে, আমাদের নেত্রীকে, তাতে আমরা যদি এক সেকেন্ডের জন্য ওই গণতন্ত্রের চিন্তা থেকে সরে যাই, তাহলে বলা তো দূরের কথা, মিটিং করা তো দূরের কথা, মিছিল করা তো দূরের কথা, একটা বিজেপির পতাকাও লাগাতে পারবেন? পারবেন না। আমরা অপেক্ষা করছি, কবে নির্বাচন আসবে, আবার বিজেপিকে গণতান্ত্রিকভাবে পরাস্ত করব।” আর এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন যে, নির্বাচন তো নির্বাচনের মত হবে। সেটা নির্বাচনী লড়াই। কিন্তু কেন এক সেকেন্ডের জন্যও গণতন্ত্রের চিন্তাভাবনা থেকে সরে আসার কথা বললেন এই তৃণমূল বিধায়ক? তাহলে মুখে গণতন্ত্রের পূজারী বলে নিজেদের নেত্রীকে প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেও, পরবর্তীতে যেভাবে বিরোধীদের পতাকা লাগানোর মত ক্ষমতা হবে না বলে মন্তব্য করলেন সোহম চক্রবর্তী, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, তৃণমূলের রাজনীতি শুধুমাত্র দখলের রাজনীতি। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।