প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে নিয়েই এত মাতব্বরি করতে ব্যস্ত। পুলিশ যদি তৃণমূলের কাছ থেকে সরে যায় এবং পুলিশ যদি নিরপেক্ষ হয়ে যায়, তাহলে তৃণমূলের কোনো অস্তিত্বই রাজ্যের বুকে থাকবে না। বারবার করে বিজেপির বিভিন্ন নেতারা এই দাবি করে এসেছেন। সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সুকান্ত মজুমদারকে, আজ সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে শ্রীরামপুরে পৌঁছে যান বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। আর সেখানেই একটি সভা থেকে পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ হয়ে গেলে ১৫ মিনিটে রাজ্যের তৃণমূলের সমস্ত কার্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে বলেই হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বলা বাহুল্য, এই রাজ্যের বুকে যখনই বিরোধীরা কোনো প্রতিবাদ সংগঠিত করতে যায়, তখনই পুলিশ দিয়ে তাদেরকে ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকি জেলায় জেলায় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যে মামলা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন মিটিং, মিছিল থেকে পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে রূপায়িত হয়েছে বলেও দাবি করেন বিজেপি নেতারা। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ যদি নিরপেক্ষ হয়ে যায়, তাহলে এই রাজ্যের বুকে তৃণমূল নামক দলের যে কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, তা খুব ভালো মতই জানে বিরোধীরা। তাই এবার পুলিশকে নিরপেক্ষ করে দিলে তৃণমূলের কত ক্ষমতা, তা দেখা যাবে বলে শাসক দলকে রীতিমত চাপের মুখে ফেলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
এদিন শ্রীরামপুরে করলেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে একটি সভায় উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই তৃণমূলের যে করুণ পরিস্থিতি হতে চলেছে, তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। এমনকি “ভাইপো” বলে বিজেপির পক্ষ থেকে যাকে কটাক্ষ করা হয় ঘুরিয়ে, সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন আক্রমণ করেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সুকান্তবাবু বলেন, “আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, পুলিশ যদি নিরপেক্ষ হয়ে যায়, ১৫ মিনিট লাগবে না, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সমস্ত কার্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি ভাইপো বাড়ি থেকে বেরোবে না। এদের কত বড় বীরত্ব, আমাদের জানা আছে। যখনই যেখানে যায়, তার আগে ১ হাজার করে পুলিশ পাঠায়। সিভিল পোশাকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। কারণ এখন আর ভিড় হয় না।”