প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিহারের মত পশ্চিমবঙ্গেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর হতে পারে। এইরকম একটি চর্চা শুরু হয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ধীরে ধীরে গোটা দেশেই বিভিন্ন রাজ্যে এই এসআইআর হবে বলেই দাবি করছে বিজেপি। তবে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে যারা বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল, তারা এই এসআইআরের বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন। তাদের বক্তব্য, এসআইআরের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তবে বিজেপির পাল্টা যুক্তি, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা বিরোধীদের ভোটব্যাঙ্ক। তাই এসআইআর হলে এদের নাম বাদ যাবে জন্যেই বিরোধীদের এত চেঁচামেচি। আর এসবের মধ্যেই এবার বিহার সমাগম অনুষ্ঠানে এসআইআর নিয়ে বিরোধীদের এত গাত্রদাহ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে এসআইআর নিয়ে তীব্র চর্চা চলছে জাতীয় রাজনীতিতে। বিহারে এসআইআর হওয়ার পরেই পশ্চিমবঙ্গেও এসআইআর হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআরের বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। আর এসবের মাঝেই বিহার সমাগম অনুষ্ঠানে সেই এসআইআর নিয়ে বিরোধীদের যেভাবে বিরোধিতা সামনে আসছে, তা নিয়ে কার্যত বিরোধী শিবিরের মুখে ঝামা ঘষে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিন বিহার সমাগম অনুষ্ঠানে এসআইআর নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কোনো রাজ্য সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত কোনো অনুপ্রবেশকারী নিতে পারে? যিনি দেশের নাগরিক নন, তিনি কি করে ভোটার হতে পারেন? দেশের প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা ঠিক করবে বিদেশীরা? এসআইআর হলে জ্বালাটা কোথায়? নির্বাচন কমিশন এসআইআর করে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ালে ওদের এত পেটব্যথা কেন? অনুপ্রবেশ হতে দিয়ে বিরোধীরা ভোটব্যাংক তৈরি করেছে। যার বলে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। আমরা বলছি, গোটা দেশে এসআইআর চালু করে খুঁজে খুঁজে অনুপ্রবেশকারীদের ডিলিট করতে হবে।”