প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে শেষ পর্যন্ত বাধাদান করার সব রকম চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের দলদাস পুলিশ। সেই সম্পর্কে দ্বিমত নেই বিরোধীদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে বিজেপিকে সভা করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই মত তারা জায়গা বেছে নিয়ে সেখানে সভার সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে নেয়। কিন্তু গতকালই খবর পাওয়া যায় যে, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই শেষ পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর এই সভা হবে কিনা, সেটা নিয়েও একটা সংশয় ছিল বিজেপি নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে শুভেন্দুবাবু জানিয়ে দিয়েছিলেন, পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না ঠিকই। সেই মত মাইক ব্যবহার হবে না। কিন্তু তিনি কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হবেন। আর নির্ধারিত সময়ে একেবারে প্রচুর কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গঙ্গারামপুরে বিজেপির সভা সেই সভায় একসাথে উপস্থিত হলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। আর মঞ্চে তারা উপস্থিত হতেই যে চিত্র সামনে এলো, তা দেখে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যারা এতদিন বিজেপি ঐক্যবদ্ধ নয় বলে দাবি করেছিলেন, তারাও রীতিমত থরথর করে কাঁপতে শুরু করেছেন বলেই দাবি করছেন একাংশ।
প্রসঙ্গত, আজ গঙ্গারামপুরে বিজেপির পক্ষ থেকে বিজয়া সংকল্প সভার আয়োজন করা হয়। তবে গতকালই জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ করে যে, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে অনুমতি দিচ্ছে না, যাতে এই সভা বানচাল করা যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সভা যে হবে, তার ব্যাপারে নিজেদের জেদ বজায় রাখে গেরুয়া শিবির। কিছুক্ষণ আগেই সেই সভায় উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সাথে সেই সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকেও। আর মঞ্চে উঠেই শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার রীতিমত হাতে হাত রেখে জনতার উদ্দেশ্যে জানান দেন যে, তারা এই তৃণমূলকে সরাতে কতটা ঐক্যবদ্ধ। আর এই চিত্র সামনে আসার পরে এই যারা এই সভাকে বানচাল করার চক্রান্তে সামিল হয়েছিলেন, তারাও রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছেন বলেই কটাক্ষ করছেন বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল।
সূত্রের খবর, কিছুক্ষণ আগেই গঙ্গারামপুরে সভায় উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। মঞ্চে উঠে সকলকে নমস্কার জানিয়ে জনতার উদ্দেশ্যে সুকান্তবাবু এবং শুভেন্দুবাবু হাতে হাত রেখে বার্তা দেন যে, রাজ্যে পরিবর্তন ঘটাতে তারা ঐক্যবদ্ধ। একাংশ বলছেন, এতদিন ধরে বিজেপির কর্মীরাও কিছুটা সংশয়ের মধ্যে ছিলেন যে, সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে সম্পর্ক ঠিক মত রয়েছে তো! আদৌ তারা ঐক্যবদ্ধ তো! কিন্তু আজকের এই চিত্র সামনে আসার পর বিজেপি কর্মীরা যেমন উজ্জীবিত, ঠিক তেমনই তৃণমূলের যারা ঠান্ডা ঘরে বসে বিজেপির এই সভা হবে না বলে মনে করেছিলেন, তাদের স্বপ্নের দফারফা হয়ে গেল এবং এই ঐক্যবদ্ধ চিত্র সামনে আসার পর আগামী দিনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের জন্য যে একটা অশনি সংকেত আসতে চলেছে, সেটাও স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।