প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বিহারে এসআইআর হওয়ার পর যারা বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, তারা সকলেই এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছিলেন। সকলেই বলতে শুরু করেছিলেন যে, এসআইআর করে ভোটারদের নাম বাদ দিয়ে বিজেপি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। আর সেই জন্যই নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে তাদের এই কৌশল। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে বারবার করে বলা হয়েছে যে, এরকম কোনো বিষয় নেই। এসআইআর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে ইচ্ছাকৃতভাবে কারওর নাম বাদ দেওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু তারপরেও কিছু বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল যেমন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সহ বেশ কিছু দল এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছিলেন। আসলে তারা যে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাওয়ার আতঙ্কেই এর বিরোধিতা করছে, সেই বিষয়টি নিয়ে পাল্টা যুক্তি দিতে শুরু করেছিল বিজেপি। আর এসবের মধ্যেই যারা এতদিন বিহারে হওয়া এসআইআর নিয়ে এত বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের মুখে কার্যত ঝামা ঘষে দিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার। আজ দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রথমেই বড় বার্তা দিলেন তিনি।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, আজ জাতীয় নির্বাচন কমিশন দিল্লিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক বৈঠক করবে। আর সেই সময় থেকেই চর্চা শুরু হয়েছিল যে, বিহারের পর এবার আরও একাধিক রাজ্যে হয়ত এসআইআরের ঘোষণা আজকের সাংবাদিক বৈঠক থেকে হতে পারে। ইতিমধ্যেই সেই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার। তবে সেই সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই বড় মন্তব্য করলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। বিহারে হওয়া এসআইআর নিয়ে অনেকে অনেক কথা বললেও এই এসআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে যে একটাও অভিযোগ সামনে আসেনি এবং কেউ যে ভুল ধরতে পারেনি, তা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই বিহারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। যে সমস্ত নিন্দুক এবং সমালোচকরা এতদিন এসআইআরের বিরোধিতা করতে শুরু করেছিলেন, তাদের পাল্টা জবাব দেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার বলেন, “সকলকে স্বাগতম। ছট উপলক্ষে বিহারের মানুষজনকে শুভেচ্ছা জানাই। বিহারে এসআইআর সফলভাবে হয়েছে। একটিও ভুল কেউ ধরাতে পারেননি। সেখানে শুদ্ধ এসআইআর হয়েছে।” আর জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আসলে যারা এতদিন এসআইআর নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের প্রতি একটা বার্তা দেওয়া হলো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।