প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর হওয়ার আগে পর্যন্ত তৃণমূলের ছোট খাটো, মাঝারি স্তরের নেতারা হুমকি দিচ্ছিলেন। অনেকে বলছিলেন, রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে। অনেকে আবার বলতে শুরু করেছিলেন, একজনেরও নাম বাদ গেলে বিজেপি নেতাদের বেঁধে রাখা হবে। এরকম অনেক কথা তৃণমূলের অনেক নেতাদের মুখ থেকে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর লাগু হতে না হতেই এবার ময়দানে নেমে পড়লো তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। একেবারে ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, একজন বৈধ ভোটারেরও নাম বাদ গেলে তারা নাকি এক লক্ষ লোক নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করবে। এমনকি এই ব্যাপারে দিল্লির অমিত শাহের পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল তাকে।

এতদিন বিজেপি প্রায় নিশ্চিত ছিল যে, এসআইআর হলেই তৃণমূলের ছটফটানি বাড়তে শুরু করবে। কেননা বিজেপির দাবি ছিল যে, এসআইআরের মধ্যে দিয়ে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে। আর তৃণমূল যাকে বৈধ ভোটার বলে দাবি করছে, তারা আসলে অবৈধ ভোটার। তাই তাদের নাম বাদ গেলে যে তৃণমূলের ছটফটানি বাড়বে এবং তারা যে হুমকি হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করবে, তা তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অন্তত তেমনটাই দাবি করতে শুরু করেছিলেন বিজেপি নেতারা। আর আজ থেকে বাংলায় এসআইআর লাগু হওয়ার পরেই তৃণমূলের রাজ্য দপ্তরে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার একটাই বক্তব্য, যদি এই এসআইআরের মধ্য দিয়ে বাংলার একজনেরও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যায়, তাহলে দিল্লিতে ১ লক্ষ লোক নিয়ে গিয়ে তারা নাকি নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করবেন। এমনকি যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে অমিত শাহে পুলিশ তাদের আটকে দেখাবেন বলেও এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর অভিষেকবাবু যখন এত বড় হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তখন পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বৈধ ভোটার কারা? সকলেই জানে, বাংলায় কিভাবে অবৈধ ভোটারের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে! কিভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা এই বাংলায় অবাধে বিচরণ করছে! আর তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিলেই কি তৃণমূল দিল্লিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাবে? যদি এটাই হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে, তৃণমূল আসলে কাদের রক্ষা করার জন্য, কাদের বাঁচানোর জন্য রাস্তায় নামছে! তবে গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে শুরু করলে দিল্লির পক্ষ থেকেও তৃণমূলের জন্য ট্রিটমেন্ট তৈরি রয়েছে বলে পাল্টা জানিয়ে দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।