প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে ইতিমধ্যেই এসআইআর চালু করার ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চলছে যাবতীয় প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই বিএলওদের ট্রেনিং দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ৪ তারিখ থেকে বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফ্রম দেবেন। মূল কাজ শুরু হবে সেই দিন থেকেই। আর যেদিন থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের মূল প্রক্রিয়া শুরু হবে, সেদিন থেকেই কি তাকে বানচাল করার জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু করে দিলো এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তার পেছনে একটা বড় কারণ রয়েছে।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এসআইআর শুরু হওয়ার ঘোষণা নির্বাচন কমিশন করতেই রীতিমত আতঙ্কের সুর শোনা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের গলায়। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো একেবারে হুঁশিয়ারি দিয়ে একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করার মত মন্তব্য করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল যে এসআইআর হলে তাদের যে অবৈধ ভোটার এতদিন তাদের বাঁচিয়ে রেখেছিল, তাদের নাম বাদ গেলে যে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকবে না এবং সেই কারণেই যে এসআইআরের বিরোধিতা করছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা। আর তার মাঝেই এসআইআরের মূল প্রক্রিয়া আগামী ৪ তারিখ থেকে শুরু হওয়ার দিনেই সেই এসআইআরের বিরোধিতায় পথে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে রেড রোড থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত একটি মিছিল করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এই খবর সামনে আসার পরেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই তৃণমূল আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আর যেদিন থেকে সেই এসআইআরের মূল প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, ঠিক সেই দিনকেই বেছে নিয়ে রাস্তায় নেমে আবারও অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের শাসক দল। তবে এসআইআরে তারা যে কতটা ভীত এবং সন্ত্রস্ত,তা তাদের এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই সমস্ত মিছিল, প্রতিবাদ করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ ভোটারদের বিনাশ অবশ্যম্ভাবী। কোনোভাবেই তাদের বাঁচাতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা মিটিং, মিছিল করলেও বাস্তবে এসআইআর প্রক্রিয়া পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে এবং দিনের শেষে তৃণমূলেরও বিদায় নিশ্চিত হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।