প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এখন এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও অন্যান্য রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে। কোথাও বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এইভাবে প্রতিবাদ করছে না। যা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস করতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের মধ্যে দুটি প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে যে, তৃণমূল কি এসআইআর হওয়ার ফলে ভয় পাচ্ছে, নাকি পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি, অনুন্নয়ন থেকে শুরু করে যে সমস্ত ইস্যু রয়েছে, তাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তারা এসআইআরকে সামনে রেখে মূল বিষয়কে ঘোরানোর চেষ্টা করছে? আজ সাত সকালে সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই বিষয়টি তুলে ধরে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, এসআইআর নিয়ে তৃণমূল যেভাবে রাস্তায় নামছে এবং যেভাবে এর বিরোধিতা করছে, তাকে কার্যত ভিত্তিহীন বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। তাদের একটাই বক্তব্য যে, এসআইআর তো একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের এত চিৎকার, চেঁচামেচি করার কারণ কি? তাহলে কি তাদের অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক চলে যাওয়ার আতঙ্কেই তারা এর বিরোধিতা করছে? তবে বিজেপি নেতারা অবশ্য দাবি করছেন, তৃণমূল এসআইআরের বিরোধিতা করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের এই সরকারের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ রয়েছে, তাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এতদিন যে দুর্নীতি, যে অত্যাচার, যে অনুন্নয়নের প্রতি মানুষ বিরক্ত ছিল, তাকে ভুলিয়ে দেওয়া জন্য এসআইআরকে সামনে এনে তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে ২৬ এর ভোট বৈতরণীর ইস্যু পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের শাসক দল। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল গোপন এজেন্ডা ফাস করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই এসআইআর ইস্যু নিয়ে তৃণমূল যেভাবে রাস্তায় নেমেছে এবং যেভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। তার বক্তব্য, এই এসআইআর নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত জ্বলন্ত ইস্যু রয়েছে, তাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের শাসক দল। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এখন একটি বিষয় নিয়েই সবকিছু হচ্ছে। কিন্তু আমি বা আমরা মনে করি, পশ্চিমবঙ্গের মূল সমস্যা, সরকারিভাবে যে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি চলছে সর্বস্তরে, তার সাথে সাথে অনুন্নয়ন, বেকারত্বের চরম যন্ত্রণা, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, শিল্পে মন্দা, কৃষকদের দুরাবস্থা, সেচ ব্যবস্থার বিপর্যয়, সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে তালা পড়ছে এবং সীমাহীন তোষনের রাজনীতি। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত যে ব্যবস্থা যা কয়েক বছর ধরে চলছে সেখানে আমরা দেখে এসেছি এখানে সাধারণ মানুষ বলুন বা মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা সাংবাদিক বা পোর্টাল, ইউটিউব বলুন, তারা তাৎক্ষণিক ইস্যুর ওপরে অনেক সময় খবর দেখায়। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের যে মূল ইস্যুগুলি, সেগুলো আড়াল হয়ে যায়। আর এটা এখানকার শাসক দল তারা চায়, মূল বিষয় থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে। তবে বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে মানুষের সমস্যাগুলি নিয়ে ক্রমাগত রাস্তায় নেমে প্রচার চালাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও চালাবে।”