প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআরের বিরুদ্ধে অনেক চিৎকার, চেঁচামেচি করলেও, এখন পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাড়িতেও এসআইআর ফর্ম পৌঁছে গিয়েছে। প্রথমে খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী সেই ফর্ম নিজে হাতে করে নিয়েছেন। তবে পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি দাবি করেন, তিনি নিজে হাতে সেই ফর্ম নিয়েছেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা একেবারেই মিথ্যা। শুধু তাই নয়, তিনি এখনই এই এসআইআর ফর্ম পূরণ করবেন না। বরঞ্চ রাজ্যের সব মানুষ যতক্ষণ না এই এসআইআর ফর্ম ফিলাপ করবেন, ততক্ষণ তিনি সেই ফর্ম পূরণ করবেন না। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সব মানুষ বলতে কাদেরকে বোঝাতে চাইছেন, এবার তা নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইতিমধ্যেই এসআইআর ফর্ম পৌঁছে গিয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, তিনি সেই ফর্ম নিজের হাতে করে নেননি। ফর্ম তার বাড়িতে পৌঁছে গেলেও তিনি এখনও পর্যন্ত সেই ফর্ম ফিলাপ করেননি। যতক্ষণ না রাজ্যের সমস্ত মানুষ সেই ফর্ম ফিলাপ করছেন, ততক্ষণ তিনি এই ফর্ম পূরণ করবেন না। অর্থাৎ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসআইআরের বিরুদ্ধে একটা বিদ্রোহ ঘোষণা করে মানুষকে ক্ষেপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে মুখ্যমন্ত্রী যখন বলছেন যে, রাজ্যের সমস্ত মানুষ এই ফর্ম পূরণ না করলে, তিনি ফর্ম ফিলাপ করবেন না, তখন সেই বিষয় নিয়েই পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ফর্ম আমি নিয়েছি, কিন্তু ফিলাপ আমি করিনি। যতক্ষণ না সমস্ত ভোটারের ফিলাপ হচ্ছে, ততক্ষণ আমি ফিলাপ করব না। সব ভোটার মানে কারা? আপনাকে আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে অনুরোধ করছি, দাবি করছি, আপনি কি চান মৃত ভোটারের নাম রাখতে? আপনি কি চান ডবল এন্ট্রি ভোটারের নাম রাখতে? আপনি কি চান, অভারতীয়দের নাম রাখতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সব ভোটারের ব্যাখ্যা আপনি দিন।”