প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা-নেত্রীরা ক্রমাগত এসআইআর নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর কথা জনসমক্ষে বলে আসছেন। তবে প্রথম দিন থেকেই বিজেপি দাবি করছে যে, এসআইআর নিয়ে মানুষকে এক কথা বোঝালেও, এই এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য যে সমস্ত পদ্ধতি প্রয়োজন, তার সবটাই করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি তারা এজেন্ট পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তারা মানুষকে এসআইআর নিয়ে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করলেও, সেই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এবার আর মুখের কথায় নয়। একেবারে সাংবাদিক বৈঠকে তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে তৃণমূল এসআইআরের বিরোধিতা বাইরে করলেও ভেতরে ভেতরে তাকে কিভাবে স্বাগত জানিয়েছে, তার পর্দাফাঁস করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা প্রথম দিন থেকেই এসআইআর হতে দেবেন না বলে রীতিমত হুমকি, হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বাংলায় এসআইআর চালু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে আটকানো সম্ভব হয়নি। এমনকি যে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআরের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন, তারা সেই এসআইআরকে অনেক আগেই স্বাগত জানিয়েছেন। এবার তাদের স্বাক্ষর করা সেই তথ্য তুলে ধরে বাইরে এসআইআরের বিরোধিতা হলেও ভেতরে ভেতরে তাকে কিভাবে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং কিভাবে তারা মানুষকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছেন, সেই ব্যাপারে বড় দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই কাগজ দেখিয়ে তিনি বলেন, “এরা এসআইআরকে স্বাগত জানিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস যারা বাইরে এসআইআরকে এনআরসি বলে মুসলিমদের তাতাচ্ছে, যারা শরণার্থী হিন্দুদের ভুল বোঝাচ্ছে যে, সিএএতে আবেদন করবেন না, সব বন্ধ হয়ে যাবে, এসব মিথ্যাচার। তারাই কিন্তু এসআইআরকে গ্রহণ করেছে। এই যে সই দেখুন। ডেট ৩১ তারিখ।” অর্থাৎ তৃণমূলের যে দ্বৈত নীতি, যেভাবে বাইরে তারা এসআইআরের বিরোধিতা করছে এবং সংখ্যালঘু ও শরণার্থী হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে, তারাই যে তলায় তলায় সেই এসআইআরকে স্বাগত জানিয়েছে, সেই তথ্য একেবারে কাগজ-কলমে সামনে এনে শাসকের দ্বিচারিতার রাজনীতি তুলে ধরলেন শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।