প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর বাংলার মানুষ আশা করেছিলেন যে, রাজ্যে সুশাসন ফিরবে। কিন্তু সেই সুশাসনের বদলে তিনি এবং তার ভাইপো মিলে যে কান্ড কলাপ শুরু করেছেন, যে অত্যাচার পশ্চিমবঙ্গের বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের বাহিনী শুরু করেছে, তাতে সাধারণ মানুষ ভাবতে পারছেন না যে, এই জন্য তারা কেন পরিবর্তন এনেছিলেন! এখন মানুষের জীবন যাপন করতে দুর্বিষহ অবস্থা। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অন্তত তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তারা দাবি করছে যে, রাজ্যের দিকে দিকে বিভিন্ন পুলিশ কর্তারাও প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে তৃণমূলের নেতাদের কাছে টাকা পাঠাচ্ছে। এক্ষেত্রে ভাইপোর কাছে সেই টাকা যাচ্ছে বলে মাঝেমধ্যেই দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর গতকাল বর্ধমানের সভা থেকে সাংবাদিক বৈঠকে সেই একই অভিযোগ করে সরব হলেন তিনি। তবে যেভাবে নদীর নাব্যতা পর্যন্ত কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ একের পর এক ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে, তা প্রতিহত করতে আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই সমস্ত কিছু ঠিক করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের বুকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ তৃণমূল নেতারা ধ্বংস করে দিচ্ছেন। বিভিন্ন সময় বিজেপি নেতারা এই অভিযোগ করে থাকেন। নদী থেকে বালি তোলা থেকে শুরু করে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া, কয়লা, বালি সমস্ত কিছুকে যেভাবে নিজেদের ব্যবসায় পরিণত করে নিয়েছে তৃণমূল নেতারা, তার ফলে পশ্চিমবঙ্গের যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, তা ক্রমশ ধ্বংসের মুখে। বিজেপি নেতারা যখন এই দাবি করেন, তখন তারা এটাও বলেন যে, এই সমস্ত অপকীর্তি থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়, সেই টাকা কলকাতায় পাঠায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। এমনকি এর সঙ্গে পুলিশের একটা বড় অংশ জড়িত বলেও দাবি করতে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। আর তার মাঝেই দুই ব্যক্তির নাম করে কম্পিটিশন করে তারা ভাইপোর কাছে টাকা পাঠায় বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন বর্ধমানের সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই তিনি বলেন, “বর্ধমানে কোনো নদীর অস্তিত্ব আছে? ইথানল তো চুরি হবেই। কোনো নদীর অস্তিত্ব আছে? এখানকার আইসিরা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন। কম্পিটিসন করে ভাইপোর কাছে টাকা পাঠায় খোকন আর রাসবিহারী। কোনো নদীর অস্তিত্ব নেই। সব বন্ধ হয়ে যাবে। মাস তিন চারেক লাগবে।”