প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই দেশে যখন জিএসটি লাগু হয়, তখন প্রত্যেকটি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে একটি কমিটি হয়েছিল। আর সেই কমিটির মাথায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। যাকে এখন মন্ত্রীপদ না থাকলেও মন্ত্রী সমতুল্য একটি পদ দিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গতকাল জিএসটির বিরোধিতা করে সেই সময় অমিত মিত্রের কথায় তারা সেই জিএসটি প্রক্রিয়াকে মেনে নিলেও, এখন জিএসটি তুলে দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তবে নিজেরাই যখন এক সময় তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, তখন এখন সেই জিএসটির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে পাল্টা খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

গতকালই উত্তরবঙ্গ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে অনেক কথা বলেন তিনি। আর তার প্রতিটি কথাকেই যুক্তি সহকারে খন্ডন করেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, একসময় অমিত মিত্রের কথায় তারা জিএসটিকে মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা তাদের ব্লান্ডার ছিল। এখন তিনি মনে করছেন যে, জিএসটি প্রক্রিয়া তুলে দেওয়া উচিত। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অমিত মিত্রকে যেভাবে এখন একটি পদ দিয়ে রাখা হয়েছে, তাতে সাদা হাতি পুষছেন বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর জিএসটি প্রত্যাহারের যে দাবি, সেই বিষয় নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ভারত সরকার একটা কমিটি করেছিল, সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে। তার নেতৃত্বে ছিলেন ডঃ অমিত মিত্র। যাকে সাদা হাতির মতো উনি পুষছেন। আগে মন্ত্রী ছিলেন, এখন ওনার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। যাকে উনি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছেন। উনি একটা সাদা হাতি, ওনাকে পুষছেন। এই অমিত মিত্রর নেতৃত্বে অর্থমন্ত্রীদের যে কমিটি ছিল, তাদের প্রস্তাবেই জিএসটি চালু হয়েছে। আর এখানে কোনটা রাজ্য পাবে, আর কোনটা কেন্দ্রে যাবে, এটা অমিত মিত্ররাই ঠিক করে দিয়েছিলেন।”