প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মানুষের চক্ষু লজ্জা বলেও একটা ব্যাপার থাকে। এতদিন ধরে জেল খেটেছেন। এমনি এমনি তো জেল খাটেননি। নিশ্চয়ই কোনো দুর্নীতি করেছেন বলেই তো প্রায় তিন বছরের মত সময় তাকে জেলে থাকতে হয়েছে। এটা প্রায় গোটা রাজ্যবাসী জেনে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পরের দিনেই এত বড় বড় কথা কি করে বলতে পারেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়? আজ বাড়িতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজেকে আবারও সৎ বলে দাবি করেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আর তার এই বক্তব্য ঘিরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
গতকালই প্রায় তিন বছর পর জেল থেকে মুক্ত হয়ে বাড়িতে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়. তিনি এখন দলের কাছে তার সাসপেনশন তোলার জন্য আবার আবেদন করবেন, রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কিনা, এসব অনেক পরের প্রশ্ন। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় এতদিন ধরে জেল খাটার পর তার কিছুটা হলেও লজ্জা থাকবে। এতদিন ধরে তিনি রাজনীতি করে এসেছেন, ফলে দুর্নীতি করেছিলেন, তার জন্য তিনি অনুশোচনা প্রকাশ করবেন। এমনটাই বিরোধীরা আশা করেছিলেন। কিন্তু আজ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী যে মন্তব্য করলেন, তাতে বিরোধীরা দাবি করছে যে, এদের লজ্জা বলতে কিছু নেই। এত কিছুর পরেও নিজেকে সৎ বলে কি করে দাবি করতে পারেন পার্থবাবু?
এদিন নিজের বাড়িতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি বলেন, “বেহালা পশ্চিমের মানুষ বরাবর আমাকে ভরসা করেছেন। ওদের মনে এখন হাজারও প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তর আমাকে দিতে হবে। প্রয়োজনে অটো নিয়ে বেহালাবাসীদের বাড়িতে পৌঁছবো। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেব। জানানো যে, আমি সৎ পথে ছিলাম।” অর্থাৎ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এতদিন জেল খেটে আসার পরেও এখনও বড় বড় গলায় দাবি করছেন যে, তিনি নাকি সৎ ছিলেন। তাহলে এখানে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে যে, তাহলে কি বিনা কারণে তাকে জেল খাটতে হয়েছে? কিন্তু দুর্নীতির কারণে তিনি জেল খেটেছেন, এটা সকলেই জানে। তাহলে তিনি কি নিজে সৎ ছিলেন? সেদিক থেকে কাকে অসৎ বলতে চাইছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী? তাহলে কি কোনো চাপের কাছে মাথা নত করে তাকে এই সমস্ত দুর্নীতিমূলক কাজ করতে হয়েছে! যদি এরকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে নেপথ্যের মাথা কারা, সেই তথ্য কেন সামনে আনছেন না পার্থবাবু, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।