প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গ বাদেও প্রায় ১২ টি রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে। কিন্তু কোনো রাজ্য থেকে মৃত্যুর খবর আসছে না। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ থেকেই পাওয়া যাচ্ছে, এসআইআরের আতঙ্কে নাকি একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে, এইরকম খবর। আর বিশেষ করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, এসআইআর চালু হওয়ার পরেই রাজ্যে একের পর এক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে তৃণমূলের এই সমস্ত বক্তব্য যে আদতে সাজানো গল্প ছাড়া যে আর কিছু নয়, তা খুব ভালো মতই জানে বিরোধীরা। তবে এবার আবারও সেই প্রশ্নের সম্মুখীন হতেই যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেওয়া যায় যে, এসআইআর এর কারণে মৃত্যু হচ্ছে, তাহলে এই যে ভয় দেখানোর বিষয় রয়েছে, সেই ভয় দেখানো এবং এই মৃত্যুর কারণ হিসেবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যে এসআইআর চালু হওয়ার পর থেকেই অত্যন্ত আতঙ্কে রয়েছে, তা নতুন করে বলতে হবে না। বিজেপি দাবি করছে, এসআইআর চালু হওয়ার পর তৃণমূল খুব ভালো করেই জানে যে, সঠিকভাবে এই এসআইআর হলে অবৈধ ভোটার বলে কেউ থাকবে না। আর তার আতঙ্কেই যেভাবেই হোক, এসআইআরকে বানচাল করা সব রকম চেষ্টা তারা বেছে নিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল বলতে শুরু করেছে যে, এসআইআরের আতঙ্কেই নাকি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তবে এবার তৃণমূলের এই লাগাতার প্রচার এবং সেই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা যে দাবি করে বসলেন সুকান্ত মজুমদার, তাতে চাপে পড়ে গেলেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
এদিন এসআইআরের আতঙ্কে রাজ্যে একের পর এক মানুষের মৃত্যু নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য সেই বিষয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বিজেপি বা এসআইআরের জন্য মানুষ মারা যাচ্ছে না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয় দেখানোর জন্য হচ্ছে। এসআইআর তো আরও ১২ টি টা রাজ্যে হচ্ছে। সেখানে কেউ মরছে না কেন? তার মানে ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। আর এই কালাটা পশ্চিমবঙ্গেই আছে। যে ভয় দেখিয়েছে, তার দায়। আপনার পাশে যদি একটা দড়ি পড়ে থাকে, আর সেই দড়িকে যদি কেউ সাপ বলে এবং আপনি যদি হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা যান, তাহলে দায়ীটা কে? দড়িটা দায়ী, নাকি যে সাপ বলেছে, সে দায়ী? যে দড়িকে সাপ বলেছে, সে দায়ী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআরকে এনআরসি বলছেন। অর্থাৎ দড়িকে সাপ বলছেন। সুতরাং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী।”