প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
দীর্ঘদিন ধরেই পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চলছে। নাম উঠে এসেছিল রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর। ইতিমধ্যেই তার বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু তাই নয়, তার ছেলের যে রেস্টুরেন্ট রয়েছে, সেখানেও কিছুদিন আগে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। আর আজ খবর পাওয়া যায় যে, রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাকে আগামী সপ্তাহে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই খবর সামনে আসার পরেই যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন, তারা কিছুটা হলেও আশাবাদী হয়ে পড়েছেন। তবে তারা বলছেন যে, অতীতের মত ডাকাডাকি করলেই হবে না। এবার যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের ভেতরে ঢোকানোর ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এর আগেও যখন সুজিত বসু খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন, যখন তার বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল, তখন পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ তার পরিবারকে ইডি তলব করেছে, এই খবর সামনে আসতেই মন্ত্রীর পুত্রর রেস্টুরেন্ট থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে বড় তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রীতিমত জর্জরিত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেকেই জেলের মধ্যে রয়েছেন। অনেকে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। আবার পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিছুদিন আগেই তার অফিসে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি তার ছেলের রেস্টুরেন্টেও হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আর এবার আগামী সপ্তাহে সেই সুজিত বসুর স্ত্রী পুত্র এবং কন্যাকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। আর সেই বিষয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আরও বড় তথ্য সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন উত্তরবঙ্গে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই আগামী সপ্তাহে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “৪৫ লক্ষ টাকা ওনার ছেলের রেস্টুরেন্ট থেকে নিয়ে এসেছে ইডি। উনি হিসাব দিতে পারেননি। আমি যতটুকু জানি, উনি হিসাব দিতে পারেননি। হিসাব দেবেন কি করে? এটা তো তোলাবাজির টাকা। এখানে যে দুর্গাপুজোর নামে তোলাবাজি হয়, কোটি কোটি টাকা ওঠে। এটা তোলাবাজির টাকা। অন্য কিছু নয়।”