প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের আমলে সবথেকে বেশি রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশকারীদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। সীমান্তে ৫৪০ কিলোমিটার জায়গা বেড়া না থাকার জন্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা না করার জন্য বর্তমান তৃণমূল সরকার বাংলার জন্য আরও বিপদ ডেকে এনেছে বলেই মাঝেমধ্যেই দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিজেপি যে লড়াই করছে, তার ফলে যে সমস্ত রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশকারীরাই পশ্চিমবঙ্গের বুকে এই জায়গাকে নিরাপদ ভেবে আশ্রয় বেছে নিয়েছিল, তারা যথেষ্ট চাপে রয়েছেন। তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়েই এবার শত্রু দেশ থেকে হুমকি ফোন পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন উত্তরবঙ্গে রওনা হওয়ার আগে নিজের মুখেই সেই কথা জানালেন তিনি।
এই রাজ্যের বুকে বারবার বিভিন্ন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দিল্লি বিস্ফোরণ কান্ডের পর যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের নেতারা দাবি করছেন যে, ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে সুরক্ষিত নয়। তাদের আমলে যে পশ্চিমবঙ্গ সুরক্ষিত নয়, তা কেন তারা ভুলে যাচ্ছেন! তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। কেননা এই রাজ্যের বুকে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে আরও বড় বড় ঘটনা ঘটেছে। বোমা বিস্ফোরণ যেন রাজ্যের এখন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূল সরকারের আমলে রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশকারীরা এই বাংলাকে সব থেকে বেশি নিরাপদ ভাবে জন্যেই আজ বাংলার এত বড় বিপদ বলে দাবি করছে বিজেপি। আর এসবের মধ্যেই আজ বাংলার দুই জায়গায় এনআইএ অভিযান নিয়ে মন্তব্য করতেই পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে তার কাছেও হুমকি ফোন এসেছে বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন উত্তরবঙ্গ রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই রাজ্যের দুই জায়গায় এনআইএ অফিসার নিয়ে শুভেন্দু বাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই রাজ্যকে সন্ত্রাসবাদীরা নিজেদের নিরাপদ জায়গা বলে মনে করে। আর আমরা হুমকি ফোন পাই। আমি দুদিন আগেও পাকিস্তান থেকে হুমকির ফোন পেয়েছি। প্রত্যেকদিন করে। বাংলাদেশ থেকে তো প্রত্যেক দিন করে। আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর সবাই জানে।” তবে এই ব্যাপারে কোথাও অভিযোগ দায়ের না করলেও, যেখানে যা জানানোর, সেখানে তিনি তা জানিয়েছেন বলেও জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।