প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে পুলিশ যে তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে এবং যেখানেই অপরাধ, সেখানেই যেভাবে তৃণমূলের নেতাদের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে এবং তারপরও পুলিশ নীরব থাকছে, তা নিয়ে বারবার করে প্রশ্ন উঠেছে। দীর্ঘদিন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তিনি ছাড়া পাওয়ার পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে থাকেননি, তিনি হাসপাতালে শুয়ে আরামে দিন কাটিয়েছেন। আর এসবের মধ্যেই নিউটাউনের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে গ্রেপ্তার হয়েছেন কোচবিহারের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সজল সরকার। তবে এই তৃণমূল নেতাকে মিডিয়ার চাপে পড়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও, হয়ত দুদিন পর জেলে না রেখে এই তৃণমূল নেতাকে হাসপাতালে শুইয়ে রাখা হবে এবং সেখানে সে স্যান্ডউইচ এবং মাংস ভাত খাবে বলে পাল্টা কথা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এই রাজ্যের বিরোধীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ যে, পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করে না। হয়ত তারা চাপের কাছে পড়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতারা অপরাধ করলে তাদের ধরতে বাধ্য হয়। কিন্তু এমন কিছু লঘু ধারা তাদের দিয়ে দেওয়া হয় যে, পরবর্তীতে দেখা যায়, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে যাদের গ্রেপ্তার করে রাখতে হয়, তাদের জেলে কার্যত আরামে যাতে রাখা যায়, তার সমস্ত ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তাই স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সজল সরকার গ্রেপ্তার হলেও, যতক্ষণ না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানো যাচ্ছে, ততক্ষণ এই দুর্বৃত্তরাজ থেকে বাংলা রক্ষা পাবে না বলেই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন নিউটাউনের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে কোচবিহারে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সজল সরকারকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় শুভেন্দু বাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “গুন্ডা একটা, দুর্নীতিগ্রস্ত। এই পুলিশের হাতে থাকলে আপাতত মিডিয়ার চাপে এসব করছে। তবে হয় হসপিটালে শুয়ে থাকবে পার্থর মত। সকালবেলা স্যান্ডউইচ খাবে, দুপুরবেলা মাটন খাবে, আর সন্ধ্যেবেলা ইলিশ মাছ খাবে। এদের প্রত্যেকের প্রটেক্টর হচ্ছে, মমতা ব্যানার্জি এবং তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা ব্যানার্জিকে না সরালে এরা জেলখানা কি জিনিস জানবে না, সংবিধান কি জিনিস জানবে না, আইন কি জিনিস জানবে না। এই যে গুন্ডা গর্দি, লোককে তুলে এনে খুন করে দেওয়া যায়, এটা তারা করবে। কারণ তারা ভালো করেই জানে, তাদের মাথায় মমতা ব্যানার্জির হাত আছে। পুলিশ তাদের কিছু করবে না। এখন হট ইস্যু, তাই এখন দেখাচ্ছেন। ১৫ দিন পরে দেখবেন, জামিন পেয়ে গিয়েছে। তারপর নির্বাচনে এই সজল সরকারই ওখানে দাঁড়িয়ে গুন্ডামি করছে, ভোট লুট করছে।”