প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
যে মানুষ যে ক্ষেত্রে পারদর্শী, তাকে এবং তার অভিজ্ঞতাকে সেই ক্ষেত্রেই কাজে লাগাতে হয়। কিন্তু বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে যারা যত বেশি তৈলমর্দন করতে পারবে, যারা যত বেশি দলদাস হয়ে থাকতে পারবে, তাদেরকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বসিয়ে দিয়ে তারা কিছু না জানা সত্ত্বেও তাদেরকে সেই জায়গায় একটা সম্মানজনক পদ দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। যার ফলে শিল্পক্ষেত্র থেকে শুরু করে ক্রীড়াক্ষেত্র, সর্বক্ষেত্রে তৃণমূল সরকারের এইরকম সিদ্ধান্তের ফলে সামাজিক স্তরে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বিশিষ্ট সাঁতারু বুলা চৌধুরী সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেছিলেন। যার ফলে প্রবল অপমানিত বোধ করেন বুলাদেবী। গতকাল সেই বুলা চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্যের নিন্দা দাঁড়ানোর পাশাপাশি ক্রীড়া ক্ষেত্রে যাদের অভিজ্ঞতা নেই তাদেরকে যেভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং যেভাবে মাথায় বসিয়ে তাদের বড় বড় পদ দেওয়া হয়েছে, সেই সমস্ত ব্যক্তিদের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
এই রাজ্যের বুকে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর একটা ট্রেন্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ক্রীড়াক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, এমন কিছু ব্যক্তিদের বিভিন্ন ক্রীড়া ক্ষেত্রের মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, যারা সেই বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে, অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের যদি কোনো জায়গায় দায়িত্বে বসিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেই জায়গার উন্নতি হবে কি করে? আর দীর্ঘ সময় দেখার পরেও, যদি সেই ব্যক্তি সেই ক্ষেত্রের উন্নতি না করতে পারেন, তাহলে তাকে কেন সরানো হবে না? বুলা চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের হকি ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য যেভাবে তার মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর এক ভাইকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার তার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই রাজ্যের ক্রীড়াক্ষেত্রের মাথায় যে সমস্ত ব্যাক্তিদের বসানো হয়েছে, তাদের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। সুকান্তবাবু বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন ক্রীড়া ক্ষেত্রে মাথায় বিভিন্ন লোক বছরের পর বছর ধরে বসে আছেন। আমার বক্তব্য, বসে থাকতেই পারেন। কিন্তু তার পারফর্মেন্স কে মূল্যায়ন করবে? ধরুন, আমি কাউকে কোনো ক্রীড়া ক্ষেত্রের মাথায় বসিয়ে রেখেছি। পাঁচ বা দশ বছর পর তো আমাকে মূল্যায়ন করতে হবে যে, উনি কি দিলেন দেশকে, কি দিলেন রাজ্যকে। যদি উনি ভালো দেন, তাহলে উনি কাজ করবেন। আর যদি উনি কিছু না দিতে পারেন, তাহলে তাকে তো সরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে দেখছি, হকি ফেডারেশনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাই। যিনি জীবনে হকি হাত দিয়ে দেখেননি। তাও ধরে নিতাম যে, উনি হকি কোনোদিন খেলেননি, তবুও তার প্রশাসনিক বুদ্ধিতে হকির উন্নতি হচ্ছে। তাহলে আমরা হাততালি দিতাম। শুধু ওনার ভাই কেন, ওনার পরিবারের সবাইকে তাহলে বসিয়ে দিন, আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু সেখানে কোনো উন্নতি নেই। তারপরেও তারা মাথায় বসে থাকবেন কেন?”