প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি বুঝতে পারছেন যে, হিন্দু ভোট ক্রমশ বিজেপির দিকে চলে যাচ্ছে? আর সেই কারণেই কি হিন্দুদের মন পাওয়ার জন্য এবার বিভিন্ন জায়গায় মন্দির বা সনাতনীদের জন্য একাধিক কর্মসূচি নিতে শুরু করেছেন তিনি? ইতিমধ্যেই দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। সেটা মন্দির নাকি কালচারাল সেন্টার, তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এসবের মধ্যেই সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়ে মহাকাল মন্দিরের ঘোষণা করেছিলেন। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি দাবি করলেন, হিন্দুরা একত্রিত হচ্ছেন জন্য ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই কারণেই তিনি এখন হিন্দু সাজার চেষ্টা করছেন।
এই রাজ্যের বুকে ভোটব্যাংকের রাজনীতি করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষন করেন। বারবার করে সেই অভিযোগ করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য যে, হিন্দুদের সর্বনাশ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, ঠিক একই কায়দায় পশ্চিমবঙ্গেও এই কাজ এখানকার সরকার করছে বলে বিভিন্ন সময় দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে বর্তমানে হিন্দু ভোট ক্রমশ বিজেপির দিকে চলে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আর সেই কারণেই ২৬ এর নির্বাচনে জেতা অত্যন্ত কঠিন ভেবেই কি হিন্দুদের জন্য একের পর এক মন পাওয়ার কর্মসূচি করছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান? দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের পর এবার উত্তরবঙ্গে মহাকাল মন্দির হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। আবার কলকাতার বুকে দুর্গা অঙ্গনেরও ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে শোনা গিয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের এই মহাকাল মন্দির নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনার পাল্টা খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামত যে মহাকাল মন্দির হবে বলে জানা গিয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জি হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে দেখে হিন্দু সাজার চেষ্টা করছেন। কিন্তু হিন্দুরা মমতা ব্যানার্জিকে প্রকৃত হিন্দু বলে মনে করে না। কারন আমরা ৫০০ বছরের লড়াইয়ের পরে যখন রাম মন্দির পেয়েছি, তখন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাম মন্দিরের বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন কলকাতায়। মমতা ব্যানার্জি মহাকুম্ভকে মৃত্যু কুম্ভ বলেন, হিন্দু ধর্মকে গন্ধা ধর্ম বলেন। তাই সরকারি টাকায় মন্দির করার দরকার নেই। মমতা ব্যানার্জি দীঘায় যেটা করেছেন, সেটা কালচারাল সেন্টার। মন্দির নয়।”