প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের যারা বিজেপির নেতা কর্মী, তারা সকলেই তাকিয়েছিলেন বিহারের নির্বাচনী ফলাফলের দিকে। কারণ বিহারের ফলাফল যদি বিজেপির পক্ষে যায় এবং তারা যদি অভূতপূর্ব ফলাফল করে, তাহলে যে এবার তাদের নেক্সট টার্গেট হবে বাংলা, তা বিজেপির অন্দরমহলে কানাঘুষো শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল। এতদিন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব যতটা না বাংলা দখলের জন্য জোর দিয়েছে, বিহার যদি সঠিকভাবে তাদের হাতে চলে আসে, তাহলে তারা আরও দ্বিগুণভাবে রণকৌশল তৈরি করবে বাংলার জন্য। এমনটাই শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল বিভিন্ন মহল থেকে। আর বিহারের নির্বাচনী ফলাফলে বিজেপি তথা এনডিএ শিবির যে রেকর্ড মার্জিনে জয় পেয়েছে, তারপরেই তার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, এবার টার্গেট পশ্চিমবঙ্গ। অঙ্গ এবং কলিঙ্গ হয়ে গেছে। এবার টার্গেট বঙ্গ। আর সেই বিহারের ফলাফলের পরেই একেবারে খাস কলকাতার বুকে সেলিব্রেশনে মেতে উঠলেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা।
এদিন সকাল থেকেই গোটা রাজ্যবাসী তো বটেই, দেশবাসীর নজর ছিল বিহারের ফলাফলের দিকে। তবে সমস্ত জল্পনা, এক্সিট পোল সবকিছুকে পেছনে ফেলে দিয়ে রেকর্ড আসনে জয়লাভ করেছে এনডিএ। এমনকি বিজেপির ফলাফলও যথেষ্ট খুশি করেছে দলীয় নেতাদের। নন্দীগ্রামের একটি কর্মসূচি থেকে শুভেন্দু অধিকারী সেই ফলাফলের পরেই হুংকার দিয়েছেন যে, এবার তাদের টার্গেট পশ্চিমবঙ্গ। আর বাংলা দখলের জন্য বিজেপি এতদিন ধরে যতটা মনোযোগী হয়েছিল, বিহার দখলের পর তারা যে আরও বেশি করে সেই বাংলা দখল নিয়ে সমস্ত কৌশল কাজে লাগাবে, তা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পরেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর বিহার বিধানসভার ফলাফলের পরেই তার প্রভাব পড়লো রাজ্য বিধানসভায়।
এদিন বিহারে বিজেপির যে ফলাফল হয়েছে, যে অভূতপূর্ব জয়লাভ করেছে তারা, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিধানসভায় একত্রিত হন বিজেপি বিধায়করা। আর সেখানেই হাতে লাড্ডু নিয়ে ব্যান্ড পার্টি সহযোগে সেই জয়ের সেলিব্রেশন করতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের। এমনকি বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে এসে পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু করে সাংবাদিক বন্ধুদের বিহারের জয়ের জন্য লাড্ডু বিতরণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর এদিনের যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, তাতেই স্পষ্ট যে, তিনি এতদিন যতটা ঝাঁঝালো ছিলেন এই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে, বিহারের জয়ের পর তিনি আরও বাড়তি জোর পেয়ে গিয়েছেন। এর ফলে ২৬ এর নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে সরানোর জন্য যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সহযোগিতায় বাংলায় আরও বড় স্ট্র্যাটেজি নিতে চলেছে গেরুয়া শিবির, শুভেন্দু অধিকারী এদিনের তৎপরতা দেখে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।