প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে বেশ কিছু তৃণমূল নেতা আছেন, যারা দলের কাছে পয়েন্ট বাড়ানোর জন্য বা নিজেরা খবরের শিরোনামে থাকার জন্য যা খুশি তাই বলে যান। হুমকি, হুঁশিয়ারি দেওয়া তাদের নিত্যনৈমিত্তিক স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন মালদহের জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তার কটুক্তি, তার হুমকি এ যেন এক স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বুকে। কিন্তু কোথায় থামতে হবে, তা না জানলে খুব মুশকিল। এবার এই তৃণমূল বিধায়ক যে হুঁশিয়ারি, যে হুমকি দিয়ে বসলেন, তার ফলে একটাই প্রশ্ন উঠেছে যে, এই রাজ্যের পুলিশ সত্যিই কি নিরপেক্ষ? সত্যিই কি তাদের মেরুদন্ড বলতে অবশিষ্ট কিছু আছে? প্রশ্নটা তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। বিরোধীরা খুব ভালোমতই জানে, এই পশ্চিমবঙ্গের বুকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে না। কিন্তু নির্বাচনের যখন হাতেগোনা কয়েকটা মাস বাকি রয়েছে, তখন একজন তৃণমূল বিধায়ক হয়ে যেভাবে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন আব্দুর রহিম বক্সী, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, এরপরেও কেন সেই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে না? সম্প্রতি আব্দুর রহিম বক্সী যে বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক, সেখানে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তার নিজস্ব কর্মসূচি ছিল। আর সেই কর্মসূচির পরেই সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশ্যে পাল্টা হুমকি দিয়ে বসেছেন মালতীপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। রীতিমত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কান কেটে নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সম্প্রতি মালতীপুরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর তারপরেই পাল্টা একটি কর্মসূচি থেকে সেই সুকান্তবাবুকে হুশিয়ারি দেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। তিনি বলেন, “আমরা বলছি, এই কানকাটা খলিল যারা আছে, তাদের আর এক কান কেটে নিতে হবে। যাতে তাদের চিহ্নিত করা যায়।” আর এখানেই প্রশ্ন যে, প্রকাশ্যে এই ধরনের হুমকি দিয়েও কি করে পার পেয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক? অবশ্য যে রাজ্যের পুলিশকে তৃণমূল নেতা হুমকি দেওয়ার পরেও, তার মা, বোন তুলে গালিগালাজ করার পরেও সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার করা বা কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার মতো সাহস দেখাতে পারে না পুলিশ, সেখানে বিরোধী দলের একজন নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে শাসকদলের নেতা হুমকি দেবে, এটাই তো স্বাভাবিক। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ যে ব্যবস্থা নেবে, এটা ভাবাটাই এই রাজ্যে দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয় বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।