প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হতেই সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, কত মানুষের নাম বাদ যাবে! কারণ বিহারে এসআইআর হওয়ার পর একটা বড় সংখ্যার মানুষের নাম বাদ দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে পশ্চিমবঙ্গেও কি তার থেকে বেশি মানুষের নাম বাদ যাবে? বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বাংলায় প্রচুর অবৈধ ভোটার রয়েছে, মৃত ভোটার রয়েছে, ভুয়ো ভোটার রয়েছে। ফলে তাদের সকলের নাম বাদ যাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা। আর এসবের মধ্যেই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ জহর সরকার তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মধ্যে দিয়ে বাংলায় এসআইআরে ৭০ লক্ষ থেকে ১ কোটির মত নাম বাদ যাবে বলে পোস্ট করেছেন। আর তৃণমূলেরই প্রাক্তন সাংসদের এই মন্তব্য যে শাসক দলের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তিদায়ক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই বিষয় নিয়েই এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর তৃণমূল যে যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এবং সেই কারণেই যে তাদের নেতারা এসআইআর প্রক্রিয়াকে বানচাল করার জন্য সব রকম চেষ্টা করছেন, তাতে নিশ্চিত বিরোধীরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসছে যে, বিএলওদের ওপর ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন তৃণমূলের এজেন্টরা। তবে বিএলওরা নিরপেক্ষভাবে কাজ না করলে যে তাদের করুণ পরিণতি হতে পারে, পাল্টা বিহারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদের সতর্ক করে দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি একটাও অনিয়ম হলে যে তারা ছেড়ে কথা বলবেন না, ভোটার লিস্ট স্বচ্ছভাবে না হলে যে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হবে না, সেই কথাও জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, একজন বৈধ ভোটারেরও নাম বাদ দিলে দিল্লিতে গিয়ে তারা নাকি নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করবে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলেরই অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের এই প্রাক্তন সাংসদ জহর সরকার। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোষ্টের মধ্যে দিয়ে ৭০ লক্ষ থেকে ১ কোটি মানুষের নাম বাদ যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আর তার সেই মন্তব্যকেই স্বাগত জানিয়ে শাসকের চাপ বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বীরভূমের কীর্নাহারে দলীয় সভার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ জহর সরকারের মন্তব্য নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “উনি তো রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন। উনি একজন আমলাও ছিলেন। এমনকি সিইও ছিলেন। ওনার ধারণা আছে, উনি অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন। কিন্তু আমরা প্রথম থেকেই বলেছি যে, ঠিকঠাক ভাবে এসআইআর হলে ১ কোটির বেশি…. কারণ ২০০২ সালে যে এসআইআর হয়েছিল, তাতে ২৬ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছিল। তারপর প্রচুর অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। আর এই মৃত ভোটগুলো তৃণমূলই বিকেল বেলা ক্যামেরা বন্ধ করে ছাপ্পা মারে। স্বাভাবিকভাবেই কার অংক মিলবে জানি না। আমারও দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আছে। অনেক নির্বাচনে লড়েছি। আমি নিজেও অনেকবার বলেছি যে, ১ কোটির কাছাকাছি বাদ যাওয়া উচিত, যদি ৮০ শতাংশ সফল হয়। আর ১০০ শতাংশ সফল হলে তো সংখ্যা আরও অনেক বেশি হওয়া উচিত।”