প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের যারা যোগ্য চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, তারা অনেক আশা নিয়ে এবার এসএসসির পরীক্ষায় বসে ছিলেন। একদিকে বহু বছর পর আদালতের নির্দেশে এসএসসি হচ্ছে, আর যেহেতু দুর্নীতির কারণে একটা প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে, ফলে এবার এসএসসি কর্তৃপক্ষ বা রাজ্য সরকার সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। এমনটাই সকলে আশা করেছিলেন। কিন্তু পরীক্ষা হওয়ার পর ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে যারা ডাক পেয়েছেন, তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। বিকাশ ভবনের সামনে শুরু হয়েছে আন্দোলন। রাস্তায় নেমেছেন ডাক না পাওয়া যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে নয়া চাকরি প্রার্থীরা। আর যেভাবে এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার আগে ফের আন্দোলন বাড়তে শুরু করেছে, তাতে চাপে পড়ে এবার শুন্যপদ বাড়ানোর কথা শোনা যাচ্ছে সরকারের গলায়। তবে শূন্যপদ যতই বাড়ানোর চেষ্টা হোক না কেন, যেভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষিত মেধাযুক্ত চাকরি প্রার্থীরা, তাতে এই আন্দোলন থামবে না বলেই পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
ইতিমধ্যেই এসএসসির পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে ভেরিফিকেশন পর্ব শুরু হয়েছে। খুব দ্রুত ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ভেরিফিকেশনে যারা ডাক পেয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেক যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা ডাক পাননি বলেই অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে তারা রাস্তায় নেমেছেন। একইভাবে পরীক্ষায় পুরো নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও কেন তাদের মধ্যে অনেকে ডাক পেলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নয়া চাকরিপ্রার্থীরা। আর এসবের মধ্যে ফের আরও একবার আন্দোলনের মুখে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। আর সেই ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সরকারও যে যথেষ্ট বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে, তা উল্লেখ করে এই আন্দোলনের তীব্রতার কথা জানিয়ে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই সরকারের পক্ষ থেকে শুন্যপদ বাড়ানো হতে পারে বলে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সরকার পারছে না। সরকারও ক্লান্ত। আন্দোলন থামবে না। নতুন করে শূন্যপদ বাড়াবেন কি ভাবে? স্কুলই তো শূন্য হয়ে গেছে। ৮ হাজারের ওপরে স্কুল তো বন্ধ। আপনি কোথায় বাড়াবেন? একটি স্কুল আছে, উত্তর ২৪ পরগনায়, যার ছাত্র সংখ্যা ১, আর শিক্ষকের সংখ্যা ৩। তিন মাস্টারমশাই তারা নিজেরা ভালো খাবার করে নিয়ে আসেন, ছেলেটিকে খাওয়ান, যাতে ছেড়ে না চলে যায়। কারণ সেও যদি চলে যায়, তাহলে স্কুলে তালা পড়ে যাবে। শিক্ষকদের অন্য কোথাও বদলি করে দেওয়া হবে।”