প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআরের আতঙ্কে তৃণমূল কংগ্রেস এখন যা খুশি তাই বলতে শুরু করেছে। রাজ্যে কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও তার জন্য এসআইআর দায়ী বলে সোচ্চার হচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। অর্থাৎ এসআইআরকে আটকানোর জন্য সব রকম চেষ্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে বলেই দাবি করছেন একাংশ। আর এসবের মধ্যেই যখন এসআইআরকে স্থগিত করার দাবি তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন গোপন খবর ফাঁস করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এসআইআরে রাজ্যে ঠিক কত মানুষের নাম বাদ যাচ্ছে, তা উল্লেখ করে পুলিশকে দিয়ে যেভাবেই হোক, ভোট বৈতরণী পার হওয়ার একটা চেষ্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে হচ্ছে। আর আগামী ৭ ডিসেম্বর গোটা রাজ্য জুড়ে পুলিশের বদলির একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে অগ্রিম জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই এসআইআর হওয়ার ফলে তৃণমূলের আতঙ্ক আরও দ্বিগুণ হয়ে বাড়তে শুরু করেছে। প্রথম দিকে তৃণমূল এসআইআরের বিরুদ্ধে নানা কথা বললেও শেষ পর্যন্ত তারা তা আটকাতে পারেনি। অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও এসআইআর হচ্ছে। তবে রাজ্যে যে মৃত্যুই হোক না কেন, তাকে এসআইআরের কারণ হিসেবে দায়ী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছেন যে, এত তাড়াহুড়ার কারণেই মানসিক চাপ নিতে না পেরে বিএলও থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন এসআইআর স্থগিতের দাবি জানানো হচ্ছে, তখন রাজ্যের শাসক দলের গোপন বৈঠকের তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে যেভাবে এসআইআর স্থগিতের দাবি জানানো হচ্ছে, তা নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “উনি, ওনার ভাইপো এবং প্রতীক জৈন মিলে একটা মিটিং করেছেন। আইপ্যাক আর পুলিশ মিলে একটা রিপোর্ট করেছে যে, ১ কোটি ১৫ লক্ষ পর্যন্ত বাদ যেতে পারে। আর এটা বাদ গেলে ওনারা জিতবেন না। তারপরে নতুন করে পুলিশের তালিকা করতে বলেছে, যদি পুলিশকে দিয়ে উদ্ধার পাওয়া যায়। পুলিশের ট্রান্সফার তালিকা তৈরি হচ্ছে। ৭ ডিসেম্বর বের হবে।”