প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআর নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। তার দলের নেতা-নেত্রীরা অনেক হুমকি, হুশিয়ারি দিয়েছিলেন। কোনোমতেই এসআইআর করতে দেওয়া হবে না, এসআইআর হলে ঘেরাও করা হবে, ইত্যাদি অনেক কথা তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের গলায় শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সেই তারাই এখন এসআইআর গিলে ফেলেছে। চোখের সামনে এসআইআর হচ্ছে, আর সেই প্রক্রিয়ায় ক্যাম্প খুলে মানুষকে সহযোগিতা করার কথা শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের গলায়। অর্থাৎ যারা একসময় এসআইআরের বিরোধিতায় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছিলেন, তারাই এখন এই প্রক্রিয়ায় সামিল হয়ে গিয়েছে। মাঝেমধ্যেই সেই কথা উল্লেখ করে কোথায় গেল তৃণমূলের ঘেরাওয়ের হুমকি? সেই প্রশ্ন তুলে শাসক দলকে খোঁচা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর আজ আরও একবার এসআইআরের বিরুদ্ধে যারা এত হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তারা কেন কোনো ঘেরাও করছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের চাপ বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে এসআইআর শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে তৃণমূল এখন এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, যখনই কোনো মৃত্যু হয়েছে, তখনই এসআইআরের আতঙ্কে সেই সমস্ত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে তারা দাবি করছেন। তবে তাদের এই মিথ্যা কথা যে আখেরে ঘোলা জলে মাছ ধরার রাজনীতি, তা নিয়ে পাল্টা যুক্তি দিচ্ছে বিজেপি। আর এসবের মধ্যেই আজ আবারও তৃণমূলের অতীতে কিছুদিন আগে করা এসআইআর নিয়ে এত বিরোধিতা কোথায় গেল, সেই প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস তো বাইরে এসআইআর করনে নাহি দুঙ্গি, লড়াই হোগা, এসব বলেছে। আন্দোলন পুরা হোগা, হাফটাফ বলেনি। মমতা ব্যানার্জি নিজে বলেছে, একুশে জুলাই যে, পুরা ঘেরাও হো জায়েগা। তো ঘেরাও করুন। কেন অপেক্ষা করছেন? কমসেকম এখানকার সিইও অফিসে তো ঘেরাও করুন।” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী এখন তৃণমূলের ক্ষমতা দেখতে চাইছেন। আর সেই কারণেই তিনি চ্যালেঞ্জ করে বুঝিয়ে দিলেন যে, একসময় এসআইআরের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখন সেই এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর তাদের সেই ঘেরাওয়ের হুমকি কোথায় গেল, তা নিয়ে শাসক দলকে রীতিমত বিড়ম্বনায় ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।