প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
যখন কোনোভাবেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর আটকানো গেল না, তখন এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস একটি সুন্দর চিত্রনাট্য তৈরি করতে শুরু করেছে। এখন পশ্চিমবঙ্গে যে কোনো মৃত্যুকেই এসআইআরের আতঙ্কে মৃত্যু বলে তারা দাবি করছেন। যাকে বিশ্বাস করতে রাজি নয় বিজেপি। তাদের বক্তব্য যে, পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও তো একাধিক রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে। কিন্তু সেখানে তো এত মানুষ আতঙ্কের জন্য মারা যাচ্ছে না। আসলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবেই হোক এসআইআর আটকানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন জন্যেই যে কোনো মৃত্যুকেই হাতিয়ার করে এসআইআরের আতঙ্কে মৃত্যু বলে তারা দাবি করে সেই পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন এবং তাদেরকে কিছু টাকা দিয়ে অর্থনৈতিক সাহায্য করে এসআইআরের আতঙ্কেই তাদের পরিবারের লোক মারা গিয়েছে, এমনটা যাতে তারা বলেন, তার চাপ দিচ্ছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে এখন তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে। আর তার মাঝেই এবার পশ্চিমবঙ্গে যেখানেই যে মানুষই মারা যান না কেন, তারা যাতে নিজের পরিবারের সদস্য বা সদস্যা এসআইআরের আতঙ্কেই মারা গিয়েছেন এমনটা বলেন, সেই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু যখন তারা এসআইআরের পক্ষে, তখন তার আতঙ্কে মানুষ মারা যাচ্ছে, এমনটা জনসাধারণকে বলতে বললেন কেন?

বর্তমানে এসআইআর হওয়ার পর থেকেই এই রাজ্যে একটি স্বাভাবিক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেখানেই যে মৃত্যু হচ্ছে, সেখানেই তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল দাবি করছে যে, সেই ব্যক্তির এসআইআরের আতঙ্কে মৃত্যু হয়েছে। এমনকি পরিবারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন জায়গায় এই কথা বলা হচ্ছে। তবে পরিবার এই কথা বলছে, তার কারণ, তৃণমূল তাদেরকে কিছু অর্থনৈতিক সাহায্য করছে। অন্তত তেমনটাই দাবি বিজেপির। তাই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যখন এই রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে কোনো কিছুই পায়নি, তখন এসআইআরের আতঙ্কে মৃত্যু হচ্ছে বলে যদি তারা কিছু ক্ষতিপূরণ পায়, তাহলে তা তাদের নিয়ে নেওয়া উচিত এবং এক্ষেত্রে তৃণমূলের কথা মতই যেখানেই যে মৃত্যু হচ্ছে, সেখানেই সেই পরিবারের সদস্যদের এসআইআরের আতঙ্কেই মৃত্যু হচ্ছে বলে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই এসআইআরের আতঙ্কে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী যে দাবি করেছেন, সেই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, যেনতেন প্রকারেন এসআইআর বন্ধ করার জন্য। সেই কারণে যেই মারা যাক, যেভাবেই মারা যাক, বলবে যে, এসআইআরে মারা গিয়েছে। আর এসআইআরে মারা গেলে রাজ্য সরকার যদি কোনো ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে, আমি তো বলব, যার বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা অথবা যেই মারা যাবে, বলবেন যে, এসআইআরে মারা গিয়েছে। রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দিক।”