প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পারছেন যে, এসআইআর যেভাবে চলছে, তাতে অবৈধ ভোটারদের নাম আর ভোটার তালিকায় থাকবে না। আর তাদের নাম যদি ভোটার তালিকায় না থাকে, তাহলে তৃণমূলের যে ক্ষমতায় থাকা হচ্ছে না, তা বুঝেই এখন এসআইআর আটকানোর সমস্ত চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা। রাজ্যে যখনই যে মৃত্যু হচ্ছে, তখনই এসআইআরের আতঙ্কে সেই সমস্ত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে যেভাবে বিএলওরা প্রাণ হারাচ্ছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এসআইআর স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া সেই চিঠি নিয়ে কি ভাবছে নির্বাচন কমিশন? কি ভাবছে রাজ্যের সিইও দপ্তর?

গতকালই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে এসআইআর স্থগিত রাখা নিয়ে যে চিঠি দিয়েছেন, তাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অন্য কোনো রাজ্য বা সেখানকার সরকারের এই এসআইআর নিয়ে কোনো অসুবিধে না হলেও, কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের এত গাত্রদাহ হচ্ছে, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, এসআইআর আটকানোর মত চেষ্টা করলেও কোনোমতেই পশ্চিমবঙ্গে তা আটকাতে পারবেন না তৃণমূল নেত্রী। মিথ্যে, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনকে চাপে রাখার চেষ্টা করছেন। কারণ তিনি ভয়ে আছেন যে, সঠিকভাবে এসআইআর হলে তার দল ক্ষমতায় থাকবে না। আর সেই কারণেই যাতে এসআইআর বন্ধ করানো যায়, তার সমস্ত চেষ্টা তিনি শুরু করে দিয়েছেন বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন এসআইআর স্থগিতের আবেদন জানিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন, তখন সেই ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল।

এদিন এসআইআর স্থগিতের আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চিঠি প্রসঙ্গে রাজ্যের সিইও মনোজ কুমার আগরওয়ালকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেন, “এটা তো জাতীয় নির্বাচন কমিশন দেখবে। এর মধ্যে তো সিইও নেই। এসআইআর যেটা হয়েছে, যে নির্দেশ এসেছে, সেটা পালন করতে হচ্ছে সিইও দপ্তরকে। তবে কি হবে, না হবে, তার সবটাই তো জাতীয় নির্বাচন কমিশন দেখবে।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এসআইআরের বিরোধিতা করে তার স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেন, তখন গোটা বিষয়ে সেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।