প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবেই হোক, এসআইআরকে বানচাল করার একটা চেষ্টা করছে। যেভাবেই হোক, তারা চেষ্টা করছে যে, অবৈধ ভোটারদের নাম যাতে ভোটার তালিকায় রেখে দেওয়া যায়। সেই কারণে এসআইআর প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিএলওদের অত্যাধিক চাপ যখন হচ্ছে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকেই অভিযোগ উঠছে, তখন রাজ্য সরকারের উচিত ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা। কিন্তু অন্যান্য রাজ্য সেই প্রক্রিয়া করে এসআইআরকে গতি দিলেও, এই রাজ্য তা করেনি। যার ফলে বিএলওরা এত প্রেসার নিতে পারছে না। আর এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দায়ী বলেই দাবি করে এসেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এবার কমিশনের একটি তথ্য শেয়ার করে শুভেন্দুবাবু রীতিমত সতর্ক করে দিলেন রাজ্যের সাধারণ মানুষকে।
বর্তমানে রাজ্যে এসআইআরের কাজ অত্যন্ত ভালো মতই চলছে। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে চেষ্টা হচ্ছে, এই এসআইআর প্রক্রিয়াকে স্থগিত করে দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে সেই দাবি জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এসআইআরের কাজ করতে গিয়ে ব্যাপক চাপ হচ্ছে বিএলওদের, অনেকে মারা গিয়েছেন। তাই কমিশনের উচিত, এই প্রক্রিয়াকে আপাতত স্থগিত রাখা। তবে এখানেই বিরোধীদের পাল্টা যুক্তি যে, বিএলওদের চাপ কমানোর জন্য অন্যান্য রাজ্য সরকার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করেছে। কিন্তু কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও সেই ফাইল ফেলে রেখেছেন? তবে বিরোধীরা যখন এই প্রশ্ন করছে, তখন সেই ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের ক্ষেত্রে একটা চালাকির প্রক্রিয়া বেছে নিতে পারে এই রাজ্য সরকার। তেমনটাই আশঙ্কা করছেন বিজেপি নেতারা। এক্ষেত্রে রাজ্যের যারা অস্থায়ী কর্মী আছেন, যারা অস্থায়ী ডেটা এন্ট্রি অপারেটার আছেন, তাদেরকে দিয়েই এই এসআইআরের কাজ করানো হতে পারে। তাই কমিশনের তথ্য তুলে ধরে এই সমস্ত অস্থায়ী ডেটা এন্ট্রি অপারেটর দিয়ে যে এসআইআরের কাজ করানো যাবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে নির্বাচন কমিশনের একটি তথ্য শেয়ার করেন তিনি। যেখানে শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, “কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশিকা, অস্থায়ী ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের দিয়ে এসআইআরের কাজ করানো যাবে না। ঠিকাকর্মী বা বিএসকে কর্মীদের দিয়েও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ নয়। এই তথ্য শেয়ার করা উচিত, যাতে সাধারণ মানুষ সজাগ থাকতে পারেন।” অর্থাৎ ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের ক্ষেত্রে যখন বিরোধীরা দাবি তুলছে, তখন রাজ্য সরকার চালাকি করে যারা অস্থায়ী অপারেটর রয়েছে, তাদেরকেই এই এসআইআরের কাজে লাগিয়ে দিতে পারে। তাই এক্ষেত্রে যে কমিশনের নির্দেশিকা আলাদা, তা উল্লেখ করে শাসকের ফন্দি রুখে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।