প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সাম্প্রতিককালে বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দলকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে নতুন দল গঠনেরও কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার দেওয়া সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন তিনি এখনও চুপ রয়েছেন? অতীতেও তিনি অনেকবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। পরবর্তীতে দলের পক্ষ থেকে তাকে যখন ডাকা হয়েছিল, তখন তিনি আবার নীরবতা পালন করেছিলেন। ফলে এবার তিনি সোচ্চার হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার সেরকম কোনো পদক্ষেপ দেখতে না পাওয়ার কারণে সকলের মধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে যে, হুমায়ুন কবীরের কি শুধুমাত্র মুখেই বড় বড় কথা? কিন্তু কাজে কিছুই করতে পারছেন না তিনি? তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলেও শেষ পর্যন্ত তৃণমূলেই থাকতে হচ্ছে তাকে? আর বিরোধীদের পক্ষ থেকে যখন এই সমস্ত প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তখনই সেই মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের মাটিতে দাঁড়িয়েই হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে করা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সেই তৃণমূল বিধায়ককেই স্ট্যান্ড ক্লিয়ার করার বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সম্প্রতি ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনেক বক্তব্য সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছে। বারবার করে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। এমনকি দলকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে দল যদি তার কথামত তার প্রস্তাব মেনে না নেয়, তাহলে তিনি নতুন দল গঠন করবেন এবং ভবিষ্যতে কারা কারা তার দলে থাকবেন, তাও তিনি জানিয়ে দেবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন এই তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি তৃণমূল ত্যাগ করার মত কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেননি। তাই এর আগেও যখন তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলে আবার তৃণমূলে থেকে গিয়েছেন, তখন এবার আর তার তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই সমস্ত কথায় এখনই বিশ্বাস করতে রাজি নন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে মুখের কথা নয়, কাজে তিনি কতটা করে দেখাতে পারবেন এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবেন, সেই প্রশ্ন তুলে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

গতকাল বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে আয়োজিত পরিবর্তন সংকল্প সভায় উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সাংবাদিকরা হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “হুমায়ুন কবীর আগে নিজে ঠিক করুন, উনি কি করবেন। উনি আগে নিজে ঠিক করুন। তারপরে আমরা বলব। উনি দল করার কথা বলেছেন, তারপর আবার ডিএমের সঙ্গে মিটিং করেছেন। ফুলটুল দিয়েছেন। এর আগেও বলেছিলেন, ইউসুফ পাঠান গুজরাটি, আমি সমর্থন করব না। তারপরেও তো উনি আর নিয়ামত সাহেব, দুইজনকে ডেকে টুপি পড়িয়ে দিলো, মাঠে নেমে পড়লেন। বললেন যে, এই জেলায় আমরা ৭০ ভাগ, হিন্দুরা ৩০ ভাগ, সবাইকে কেটে ভাগীরথীর জলে ভাসিয়ে দেব। এখন আবার বলছেন, আমি বলতে চাইনি। আমাকে দিয়ে মমতা ব্যানার্জি সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলিয়েছেন, তাই বলতে হয়েছে। তাই উনি আগে নিজের স্ট্যান্ড ক্লিয়ার করুক। তারপর বলব।”