প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হওয়ার অনেক আগে থেকেই তার বিরোধিতা করতে শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি একুশে জুলাইয়ের সভা থেকে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসআইআর তিনি কোনোমতেই হতে দেবেন না বলে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের যে গতি চলছে, তা আটকাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। আর যেভাবে যে প্রক্রিয়ায় এসআইআর হচ্ছে, তাতে নানা অছিলায় তা যাতে স্থগিত হয়, তার জন্য বারবার করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ আবারও একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি। যেখানে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সিইওর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে এই চিঠি দিতেই পাল্টা সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এই রাজ্যে যখন এসআইআরের কাজকর্ম চূড়ান্ত পর্যায়ে, ঠিক তখনই আজ আবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে দুটি জরুরী বিষয় উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও তিনি এসআইআর স্থগিতের দাবি জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। আর আজ আবারও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের ক্ষেত্রে সিইওর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনারকে মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি ঘিরে নানা মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এই চিঠি দিয়েছেন, কি তার উদ্দেশ্য, এবার সেই তথ্য সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন মন্দিরবাজারে পরিবর্তন সংকল্প সভার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর আবারও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া চিঠি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভুয়ো ভোটার, ডবল-ট্রিপল এন্ট্রি, অবৈধ ভোটার এবং বিশেষ করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের সমর্থনে ক্ষমতায় আছেন বলে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এসব চিঠি লিখছেন। এর কোনো বাস্তবতা নেই। এর কোনো যৌক্তিকতা নেই।” অর্থাৎ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যতই এসআইআরের বিরুদ্ধে লাফালাফি করুন এবং যতই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে আপত্তি জানান না কেন, এসআইআর বন্ধ করাই যে তার একমাত্র উদ্দেশ্য এবং এসআইআর হলে যে সমস্ত অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে এবং তার দল যে ক্ষমতায় থাকবে না, আর সেই কারণেই যে তার এই ধরনের বায়নাক্কা শুরু হয়েছে, স্পষ্ট ভাষায় সেই কথাই বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।