প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর হওয়ার পরে তৃণমূল খুব ভালোমতই বুঝতে পেরেছে যে, তারা এবার আর ক্ষমতায় টিকে থাকবে না। আর সেই কারণেই কি এখন ভয় দেখানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে? ভোট কোনোমতেই পাওয়া যাবে না বুঝে কি এবার ভোটের আগে ভাতা, ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস? অবশ্য যে দলের রুচি প্রতিমুহূর্তে ভয় দেখিয়ে ভোটে জেতা, তারা এমন জঘন্য রুচি পোষণ করবে, মানুষকে ভয় দেখাবে, এটাতো অত্যন্ত স্বাভাবিক। অন্তত তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা। আর এসবের মধ্যেই এবার নন্দীগ্রামে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিতর্কিত পোস্ট ঘিরে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, লক্ষীর ভান্ডারের টাকা কি তৃণমূলের সম্পত্তি?

কি ঘটনা ঘটেছে? এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন খবর সামনে এসেছে। অনেক জায়গা থেকেই খবর পাওয়া গিয়েছে বা বিরোধীরা অভিযোগ করেছে যে, বিজেপি করলেই তাদের সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি তাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আর এবার যে খবর সামনে এলো তা রীতিমত চমকে দেওয়ার মত। ভোট পাওয়ার জন্য তৃণমূল কতটা নীচে নামতে পারে, মানুষকে কতটা ভয় দেখাতে পারে, তার আরও বড় উদাহরণ সামনে চলে এলো বলেই দাবি করছে বিজেপি। যেখানে তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বয়াল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য, তিনি বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে রীতিমত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন। আর অষ্টমী গিরি নামে তৃনমূল নেত্রীর এই পোস্ট ঘিরেই যাবতীয় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আর তৃণমূলের একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কি করে তিনি এই কথা বলতে পারেন, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। বিরোধীদের দাবি, এভাবেই তো বিভিন্ন জায়গায় ভোট নেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা এখন ভয় দেখাতে শুরু করেছে যে, বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু তৃণমূল যতই ভয় দেখানোর চেষ্টা করুক, তাদের ওই সামান্য ৫০০, ১০০০ টাকার জন্য মানুষ আর তাদের শাসনকে ফিরিয়ে আনবে না। মানুষ খুব ভালো মতই জানে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রকৃত সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে তাই তৃণমূলের এই সমস্ত হুমকির কাছে ভয় পেয়ে সাধারণ মানুষ আর তাদেরকে ফিরিয়ে আনবে না বলে নিশ্চিত গেরুয়া শিবির।